বারবার জিতলেও কি বিশ্বকাপ ফাইনালের ঝাল মিটবে?

প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই লক্ষ্য আর পূরণ হয়নি, দ্বিতীয় ম্যাচেও অজিদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত। সফরকারীদের ৪৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে তাঁরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন যশস্বী জসওয়াল। ষষ্ঠ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই তরুণ; তাঁর এই বিধ্বংসী ফিফটির কল্যাণে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বোর্ডে জমা হয় ৭৭ রান।

এরপর রানের গতি খানিকটা কমে এসেছিল, তবে নিয়ন্ত্রণ ঠিকই ধরে রেখেছিলেন ব্যাটাররা। সুযোগ পেয়েই তাই চড়াও হন ঈশান কিষাণ; তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারে ১০৬ রান থেকে ভারত পৌঁছে যায় ১৫ ওভারে ১৬৪-তে।

অর্থাৎ, মাঝের এই চার ওভারে ৫৮ রান এসেছে, যেখানে ঈশানের অবদান ১৮ বলে ৪০। হাফসেঞ্চুরির পর এই বাঁ-হাতি আউট হলেও ততক্ষণে পাহাড় সম রানের ভিত পেয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।

শেষদিকে রিঙ্কু সিংয়ের ৯ বলে ৩১ রানের ক্যামিওতে ভর করে ২৩৫ রান করে দলটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাঁদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।

রান তাড়ায় দুই ওভারেই ৩১ রান করে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে রবি বিষ্ণুই আক্রমণে আসতেই; নিজের পঞ্চম বলেই ম্যাথু শর্টকে বোল্ড করেন এই লেগ স্পিনার।

পরের ওভারে আবারো উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন তিনি; আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জশ ইংলিসকে ফেরান এই তরুণ। স্টিভ স্মিথ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেননি; দুজনেই সেট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন।

মাত্র ৫৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় থাকা অজিদের ত্রাতা হয়ে আসেন মার্কাস স্টয়নিস এবং টিম ডেভিড। এই দুই ব্যাটার তুলোধুনো করতে শুরু করেন স্বাগতিক বোলারদের।

তাঁদের ৮১ রানের জুটিতে জয়ের খানিকটা আশা সঞ্চার হয়। কিন্তু ৩৭ রানে ডেভিড আর ৪৫ করে স্টয়নিস আউট হলে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় অজিদের। ম্যাথু ওয়েড ৪২ রান করলেও সেটা কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে; শেষ পর্যন্ত ১৯১ রানেই থামে দলের ইনিংস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link