সেঞ্চুরির আগে সৌম্যকে খুব একটা ‘কনভিন্সিং’ মনে হয়নি। তিন দফায় জীবন পেয়েছেন বলেই নয়, ব্যাটিংয়ের সামগ্রিক ধরনেও। তবে সেঞ্চুরির পর যেভাবে খেললেন, সেই পুরোনো সৌম্যর ঝলক, আত্মবিশ্বাস, দাপট, কর্তৃত্ব- সবই ফুটে উঠল।
তবে আমি কোনো আশা করছি না। তিনি ফর্মে ফিরেছেন, তার পুনরুজ্জীবন বা নতুন শুরু- এই ধরনের কোনো ভাবনার তো প্রশ্নই আসে না। সত্যি বলতে, একদমই কোনো প্রত্যাশা নেই।
আশা-ভরসা অনেক হয়ে গেছে। এখন আর এক-দুই ইনিংস দেখেই আশায় বুক বাঁধছি না। টানা যদি কিছু করতে দেখা যায়, ধারাবাহিকতা যদি কিছুটা হলেও থাকে, তখন আবার একটু একটু করে তাকে নিয়ে আশা ফিরতে পারে।
আজকের উইকেট একদম সলিড ব্যাটিং ট্র্যাক। পেসারদের একটি ডেলিভারিও সুইং করেনি সম্ভবত। নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণও একদমই সাদামাটা। অ্যাডাম মিল্ন ছাড়া একজন অভিজ্ঞ বোলারও নেই। মিল্ন নিজেও ক্যারিয়ারজুড়ে ধারাবাহিক হতে পারেননি। পেস আক্রমণের অন্যরা নবীন।
স্পিনে ইশ সোধিকেও আজকে বিশ্রাম দিয়ে আনকোরা আদিত্য আশোকের অভিষেক করিয়ে দিয়েছে তাঁরা। নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন আর হালকা বাড়তি বাউন্স ছাড়া তেমন কঠিন কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। নাটকীয় কিছু না হলে বাংলাদেশ হারবে এই রান নিয়ে। বেসিক ক্রিকেট খেলতে পারলেই নিউ জিল্যান্ড জিতে যাবে।
তার পরও ১৬৯ রানের ইনিংস, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই বিশেষ কিছু। ৮০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ইনিংসটা তিনি টেনে নিয়েছেন, ৪৯ ওভার খেলেছেন, দলের ৫৮.০৭ শতাংশ রান একাই করেছেন (পূর্ণ ইনিংসে বাংলাদেশের রেকর্ড)। সবকিছু অবশ্যই দারুণ।
কিন্তু যেটা বললাম, এক ইনিংসে উচ্ছ্বাসে ভাসছি না। এমনিতে, তাকে দলে নেওয়ার প্রক্রিয়াই ছিল চরম প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও সেটায় তার হাত নেই। তার কাজ ছিল পারফর্ম করা। প্রথম ম্যাচে জঘন্য পারফরম্যান্সের পর যেভাবে আজকে ঘুরে দাঁড়ালেন, তা খুবই দারুণ। কিন্তু, সেই দারুণের ধারাবাহিকতা চাই। নইলে কোনো লাভ নাই। আপাতত তাই, প্রত্যাশাগুলো বনসাই।
– ফেসবুক থেকে