২০২৩ সালের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশও বেশ আশা নিয়ে পা রেখেছিল ভারতের মাটিতে। কিন্তু রেকর্ডের পাতায় যুক্ত হয়নি কোন সাফল্য। বরং ২০০৭ সালের পর আক্ষরিক অর্থেই সবচেয়ে বাজে সময়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল।
যেহেতু ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছর, সেহেতু ওয়ানডে ক্রিকেটেই মশগুল ছিল বাংলাদেশ। সেদিক থেকে পুরো বছর জুড়েই খেলার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে ৩২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এই পরিমাণ ওয়ানডে ম্যাচে বোলারদের অবদানও ছিল অনেক। বিশেষ করে পেসারদের। তাইতো ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় পেসারদের আধিপত্য স্পষ্ট।
- শরিফুল ইসলাম
বাংলাদেশের পক্ষে এ বছর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। ১৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। তাতে তার ভাগ্যে জুটেছে ৩২ খানা উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। সে ম্যাচে ২১ রান খরচ করেছেন শরিফুল। সেটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
- তাসকিন আহমেদ
বাংলাদেশের বর্তমান বোলিং লাইন আপের অন্যতম সফল বোলার তাসকিন আহমেদ। ইনজুরির বেড়াজালে আটকে থাকা তাসকিন এই বছর ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। বোলিং করেছেন ১৭ ইনিংসে। ডান-হাতি এই পেসার শিকার করেছেন ২৬ উইকেট। এশিয়া কাপের ম্যাচে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রান খরচায় ৪ উইকেট আদায় করেছিলেন তাসকিন। এক ইনিংসে ২০২৩ সালে এটাই তার সর্বোচ্চ।
- মেহেদী হাসান মিরাজ
এই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৭ ম্যাচে তিনি লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অলরাউন্ডার মিরাজ, বল হাতে ২৩টি উইকেট শিকার করেছেন। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করে দলকে জয় পেতে সহয়তা করেছেন মিরাজ।
- সাকিব আল হাসান
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কিংবা সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, এসব তালিকায় সাকিব আল হাসান থাকবেন না তা কি করে হয়! এই বছর বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। যৌথভাবে অবস্থান মিরাজের সাথে। ২৩টি উইকেট বাগিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২৩ ম্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৩৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
- হাসান মাহমুদ
এই তালিকায় ফাইফার পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশী বোলার হাসান মাহমুদ। এই বছরে তিনিই একমাত্র এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার। এছাড়াও ২২ উইকেট শিকার করে তিনি রয়েছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ধ্বসের কারণ হয়েছিলেন হাসান। সেই ম্যাচে মাত্র ৩২ রান খরচ করেছিলেন তিনি।