নিউজিল্যান্ডে সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন শরিফুল ইসলাম, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাওয়া দুইটি জয়েই অবদান রয়েছে তাঁর। নতুন বল হাতে উইকেট তোলা কিংবা ব্রেক থ্রু এনে দেয়া – তাসকিন, ইবাদতদের অনুপস্থিতিতে সবই করেছেন তিনি। তবে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন্য এক কারণেই শিরোনাম হলেন এই পেসার।
এদিন কিউই ব্যাটার টিম সেইফার্টকে আউট করার সুযোগ পেয়েও ইচ্ছে করে মিস করেছেন তিনি, দেখিয়েছেন স্পোর্টসম্যানশিপ। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট বিশ্বে এখন আলোচিত টাইগার এই তরুণ।
ইনিংসের তখন মাত্র দ্বিতীয় ওভার, স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন ড্যারেল মিশেল। ওভারের পঞ্চম বলটা একেবারে সোজাসুজি মেরেছিলেন মিশেল, তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা বল বোঝার আগেই সেইফার্টের হেলমেটে আছড়ে পড়ে। ততক্ষণে আবার পপিং ক্রিজের বাইরে চলে গিয়েছে তিনি, তাই তো হেলমেটে লেগে শরিফুলের কাছে বল চলে আসায় সহজেই রান আউট করতে পারতেন।
কিন্তু সেটা তিনি করেননি, বরং বলের আঘাতে মাটিতে পড়ে যাওয়া কিউই ওপেনারকে সাহায্য করেছেন উঠে আবার খেলা শুরু করতে। এর জন্য তাৎক্ষণিক সতীর্থ ও আম্পায়ারদের প্রশংসাও পেয়েছেন এই বাঁ-হাতি।
অবশ্য ভাগ্যগুণে জীবন পাওয়া ব্ল্যাকক্যাপস উইকেটকিপার এরপর স্রেফ তুলোধুনো করেছিলেন বোলারদের। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই চার থেকে ছয় এই তিন ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছিল ৩৬ রান। শেষপর্যন্ত তানজিম সাকিবের ডেলিভারিতে আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেছেন ২৩ বলে ৪৩ রান, আর ইনিংসটি খেলার পথে ছয়টি চারের পাশাপাশি একটা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে মানকাড, টাইমড আউট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়ে থাকে। এরই সূত্র ধরে উঠে আসে স্পোর্টসম্যানশিপ। এই গুণের চাক্ষুষ প্রমাণই আজকে দিলেন শরিফুল ইসলাম, যদিও বল হাতে পারফর্ম করতে ভোলেননি তিনি। দুই ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন এক উইকেট।