জাতীয় দলের নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমন। দুই সদস্যের নির্বাচক প্যানেলে এবার যুক্ত হলো আরও একটি নাম; জাতীয় দলের তৃতীয় নির্বাচক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
রাজ্জাকের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকেও এই খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সূত্রটি বলেছেন, আব্দুর রাজ্জাককে এই খবর নিশ্চিত করে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ফোন করেছিলেন। তবে রাজ্জাকের কাজ কবে থেকে শুরু হচ্ছে বা টার্ম ও কন্ডিশন কী হবে, সেটা এখনও জানানো হয়নি।
রাজ্জাক দেশের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে এবং সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন তারও চার বছর আগে ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর গত কয়েক বছর ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও জাতীয় দলে উপেক্ষিত থাকার পর এবার নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি।
জাতীয় দলের নির্বাচক হিসাবে অনেক দিন ধরেই আলোচনাতে ছিলো রাজ্জাকের নাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে ছিলেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে রাজ্জাকই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
করোনার কারণে দীর্ঘ হলো বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়না। যার কারণে আলোচনায় থাকলেও নিয়োগ পাওয়া হয়নি রাজ্জাকের। আজ দীর্ঘ ১০ মাস পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভায় বাংলাদেশ দলের নতুন নির্বাচক হিসেবে এই স্পিনারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
নির্বাচক হিসাবে নিয়োগ পাওয়া রাজ্জাককে সব ধরণের ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েই নতুন দায়িত্ব নিতে হবে। মাত্র ১৩ টি টেস্ট খেলেছেন এই স্পিনার। ১৩ টেস্টে নিয়েছিলেন মাত্র ২৮ উইকেট। টেস্টে সফল না হলেও ওয়ানডেতে তার সময়ে দলের সেরা স্পিনার ছিলেন রাজ্জাক।
প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ওয়ানডেতে ১৫৩ ম্যাচে শিকার করেছেন ২০৭ উইকেট আর ৩৪ টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তাঁর শিকার ৪৪ উইকেট। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও ৬৩৪ উইকেট রয়েছে রাজ্জাকের ঝুলিতে।