বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অন্যতম সফল দল ঢাকা। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন দলের ফ্রাঞ্চাইজি পরিবর্তন হয়েছে বেশ ক’বার। এক সময় নামে-ভারে সমীহ করবার মতই দল ছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস কিংবা ঢাকা ডায়নামাইটস।
দশম আসরে এসে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি যুক্ত হয়েছে ঢাকার পাশে। এবারে দূর্দান্ত ঢাকা ব্যানারেই মাঠে নামবেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা। কাগজে কলমে খুব একটা শক্তিশালী দল নয় এবারের ঢাকা। অবশ্য প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন ‘টিম প্লেয়ার’-দের নিয়েই দল গঠন করেছে তারা।
একটা সময় ঢাকার ওপেনিং সামলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, তিলাকারত্নে দিলশান, এভিন লুইসদের মত খেলোয়াড়রা। এদফা নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের উপর থাকবে দূর্দান্ত ঢাকার উড়ন্ত সূচনার দায়িত্ব। অন্তত প্রাথমিক পরিকল্পনা সেটাই। তবে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে কোন কিছুই নিশ্চিত নয়। পরিবর্তন এসে যেতে পারে যেকোন মুহূর্তে।
কিন্তু ঢাকার অনুশীলনে নাঈম-সাইফ দুইজনে জোট বেঁধেই করছেন অনুশীলন। একই নেটে দুইজনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন। পাওয়ার প্লে-এর সুবিধা নিতে গ্যাপশট খেলার প্রয়াসই করেছে তারা দুইজনে। তাছাড়া বড় বড় শট খেলতেও দেখা গেছে নাঈম-সাইফদের।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে ঠিক কতটা কার্য্যকর হবে দূর্দান্ত ঢাকার এই ওপেনিং জুটি? সে প্রশ্ন তোলা মোটেও অমূলক নয়। নাঈম শেখ জাতীয় দলের ওপেনিং সামলেছেন বেশ কিছু ম্যাচে। সাইফ টেস্টে ওপেনিং করলেও জাতীয় দলের সাথে বড় কোন আয়োজনের সঙ্গী হতে পারেননি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বের অভিষেক হয়েছে তার, তবে সেটা এশিয়ান গেমসের মধ্যদিয়ে।
সেখানেও বলার মত তেমন কিছুই করতে পারেননি সাইফ। মালয়শিয়ার বিপক্ষে একটি হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে তার সঙ্গী। তাছাড়া গেল বিপিএলেও তিনি অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন মাঠের বাইরে। মোটে ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। সর্বসাকুল্যে ৬৬ রান করেছেন তিনি সেই চার ম্যাচে।
অন্যদিকে নাঈম শেখ রঙপুর রাইডার্সের হয়ে প্রতি ম্যাচেই ওপেনিং করেছেন। প্রায় ১১১ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ২১৭। কোন হাফ সেঞ্চুরির দেখাও তিনি পাননি। তাছাড়া বাংলাদেশের হয়ে খেলা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোটে ৬ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।
পরিসংখ্যান কোন ভাবেই নাঈম কিংবা সাইফের পক্ষে নেই। এমন হতশ্রী চিত্র বদলে ফেলার একটা চ্যালেঞ্জ নিশ্চয়ই থাকছে তাদের দুই জনের সামনেই। সেটা উৎরে যাওয়াটা ভীষণ জরুরি, নিজেদের জন্যে, দলের জন্যে।
দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেই হয়ত খানিকটা আশা করতেই পারে ঢাকার সমর্থকরা। তবে মাঠে যে নাঈম-সাইফকেই পারফরম করতে হবে। কতটুকু তা করতে পারেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।