দিন দুয়েক বাদেই মাঠে গড়াবে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। অথচ অংশগ্রহণকারী ৭ টি দলের অধিনায়ক কারা হচ্ছেন সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল কিছু দিন আগেও। অবশেষে সেই ধোঁয়াশা কেটেছে। জানা গেল, এবারের বিপিএলে ৭ দলের সাত সেনাপতির নাম।
অধিনায়ক হিসেবে রংপুর রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির চাওয়া ছিল সাকিব আল হাসান। তবে নেতৃত্বের চাপ নিতে চাইছেন না অভিজ্ঞ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। তাই এবারের বিপিএলেও নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে দলটি।
গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে চোখের সমস্যায় ভুগেছিলেন সাকিব। যা প্রভাব ফেলেছিল তাঁর ব্যাটিংয়েও। বিপিএলের আগে তাই সে সমস্যা সমাধানে লন্ডন ছুটেছেন সাকিব। আর এ কারণেই রংপুর রাইডার্সের অধিনায়কত্ব নিতে চাননি তিনি। প্রস্তুতি ম্যাচে না পাওয়া গেলেও অবশ্য বিপিএলে প্রথম ম্যাচ থেকেই তাঁকে পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে গত আসরের প্রথম ভাগে সামলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল শুভাগত হোমকে। তবে ভাগ্য বদল হয়নি। সে আসরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকেই শেষ করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে এ আসরেও শুভাগত হোমের উপরই ভরসা রাখছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এবারের আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে দুর্দান্ত ঢাকার। তবে বিপিএল শুরুর দিন দুয়েক আগেও অধিনায়ক ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে অনুশীলনের সময় পেসার শরিফুলের ভাষ্যমতে, সম্ভাব্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই এগিয়ে আছেন।
এ দিকে অধিনায়ক ঘোষণার ক্ষেত্রে রীতিমত চমক দেখিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লাকে তিন বার শিরোপা জেতানো ইমরুল কায়েসকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে লিটন দাসকে নতুন নেতৃত্ব দিয়েছে দলটি। হ্যাটট্রিক শিরোপার চোখে তাই এ উইকেটরক্ষক ব্যাটারের উপরেই ভরসা রাখছে বিপিএলের ইতিহাসের সফলতম দলটি।
তামিম, রিয়াদ, মুশফিককে নিয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দল গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। তাঁরা ভরসা রাখছে তাদের আইকন ক্রিকেটার তামিম ইকবালকেই। যদিও মিরাজের দাবি, তাঁকেই নেতৃত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বয়ং তামিম। তবে দল থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, আসন্ন আসরে বরিশালকে সামলাবেন তামিম ইকবালই।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ রাজিন সালেহ এখন পর্যন্ত মাশরাফিকেই তাদের অধিনায়ক হিসেবে দেখছেন। তবে বিপিএল যখন সন্নিকটে, তখন পর্যন্ত একবারের জন্য অনুশীলনে মেলেনি মাশরাফিকে। শোনা যাচ্ছে, এখনও পায়ের ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি। জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত মাশরাফি না খেলতে পারলে নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধেই উঠবে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব।
সবশেষ আসরে খুলনা টাইগার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। যদিও মাঝ পথে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপকে নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা। তবে এবার খুলনা টাইগার্সকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। বিজয় ছাড়াও খুলনার অধিনায়কত্ব পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও আকবর আলী। তবে তাঁদেরকে টপকে অধিনায়ক হয়েছেন বিজয়ই।