রংপুর রাইডার্স বনাম ফরচুন বরিশাল – দুই হেভিওয়েট দলের লড়াই। লড়াইটা বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালেরও; বোলারদের দাপটের দিনে জয়টা অবশ্য পেয়েছে তামিমের বরিশাল। রংপুরকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বরিশালের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে রংপুর। মোহাম্মদ ইমরানের বলে ওপেনার ব্রেন্ডন কিং শূন্য রানে আউট হন, আরেক ওপেনার রনি তালুকদার থামেন পাঁচ রান করে। সাকিব আল হাসানও পারেননি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে, দুই টাইগার ব্যাটারকেই ফিরিয়েছেন খালেদ আহমেদ।
পাওয়ার প্লের মধ্যে এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ড্রেসিরুমে ফিরলে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় দলটি। প্রাথমিক বিপর্যয় সামালে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সোহান; শামীম হোসেনের সঙ্গে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। তাঁর ২৩ বলে ২৩ এবং শামীমের ৩৩ বলে ৩৪ রানের কল্যাণে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায় টিম রাইডার্স।
শেষদিকে অবশ্য শেখ মেহেদী হাসানের কার্যকরী ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তাঁরা। চারটি চার আর একটি ছয়ে ১৯ বলে ২৯ রান করেন তিনি, এতেই ১৩৫ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
সহজ স্কোর তাড়া করতে নেমে বরিশাল উড়ন্ত সূচনা পায় তামিম ইকবালের ব্যাটে ভর করে। প্রথম ওভারেই তিন চার হাঁকিয়ে আগ্রাসনের ইঙ্গিত দেন তিনি। তামিমের দেখাদেখি ইব্রাহিম জাদরানও হাত খুলে খেলতে শুরু করেন, তবে সাকিব আক্রমণে আসতেই তুলে নেন আফগান তারকার উইকেট।
টাইগার ওপেনারও আউট হয়ে যান অষ্টম ওভারে, যদিও এর আগে ২৪ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে জয়ের সমীকরণ সহজ করে দেন তিনি। মাঝের ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম আর কোন বিপদ হতে দেননি, রয়ে সয়ে খেলে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছেন দলকে।
দলীয় ৯৪ রানে মিরাজকে সাজঘরে ফেরান হাসান মুরাদ, এরপর আবার মুশফিককে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু শোয়েব মালিকের দৃঢ়তা আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিনিশিং দক্ষতার নৈপুণ্যে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।