নাহিদুল ইসলাম, পাওয়ার প্লে-র নব্য তারকা

স্বীকৃত ক্রিকেট খেলছেন এক দশকের বেশি সময় ধরে। দীর্ঘ এ সময়কালে সব মিলিয়ে খেলেছেন দুইশোটিরও বেশি ম্যাচ। তবুও যেন সব সময় আড়ালেই রয়ে গিয়েছেন অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। তবে আড়ালে থেকেও কীভাবে প্রতিপক্ষের জন্য আনপ্লেবল হতে হয়, সেটিরই দৃশ্যায়ন ঘটালেন চট্টগ্রাম-খুলনার ম্যাচে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে নতুন বলে বোলিং করেই গুণে গুণে চারটি উইকেট আদায় করে নিয়েছেন এ স্পিনার।

বিপিএলের সর্বশেষ আসরেও নাহিদুল ছিলেন নতুন বলের দিশারী। ডানহাতি এই স্পিনারের দক্ষতা সহজাতই। সেটা কাজেও লাগান নিয়মিতই। দারুণ বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ রেখে বল ভেতরে ঢুকাতে পারেন, সময়মতো বের করিয়ে নেওয়ার কাজটাও পারেন। লাইনে অদল-বদল এনে ব্যাটারদের ধন্দেও ফেলতে পারেন সহজেই। আর এতেই নাহিদুলের স্পিন যেন বিপিএলের মঞ্চে হয়ে ওঠে আনপ্লেয়েবল।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এ দিন শুরুতেই তাঁকে বোলিং প্রান্তে এনেছিলেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি এ স্পিনার। শুরুর ওভারেই মিতব্যায়ী বোলিং করে চাপে ফেলে দেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ও তানজিদ তামিমকে। শুরুর ওভারে দেন ১ টি মাত্র রান।

আর সেই ধারাবাহিকতায় উইকেটের দেখাও পান পরের ওভারেই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাহিদুলের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতেই স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন আভিস্কা ফার্নান্দো। ফার্নান্দোর ফিরে যাওয়ার পরের বলেই ইমরানউজ্জামানের উইকেটও তুলেন নেন নাহিদুল। টানা দুই উইকেটের ফলের হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এ স্পিনার।

সেটি অবশ্য হয়নি। তবে পরের ওভারেই আরেক ওপেনার তামিমকে ফেরান তিনি। টপ অর্ডারের ৩ টা উইকেটই যখন তিনি লুফে নিয়েছেন, ততক্ষণে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁরা। উল্টো নিজের শেষ ওভারে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেটের স্বাদ পান নাহিদুল।

২১ বলে ২৪ রানে ব্যাট করতে থাকা নাজিবুল্লাহ লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। তবে নাহিদুলের স্পিনের সামনে পরাস্ত হন এ আফগান ব্যাটারও। নাহিদুল শুধু যে এ দিন উইকেটই পেয়েছেন তা নয়। পুরো ইনিংসেই মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান হজম করেন তিনি। আর পুরো ইনিংসে নাহিদের বলে একটি মাত্রই বাউন্ডারি বের করতে পেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নাহিদের এমন বোলিংয়ে তাদের সংগ্রহও থেমে যায় মাত্র ১২১ রানে।

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link