বড় জয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ যুব দল

সুপার সিক্স রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে জিততে হতো যুক্তরাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। প্রত্যাশিত জয়টা পেতে অবশ্য তেমন কষ্ট করতে হয়নি, ১২১ রানের বিশাল ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভাল শুরু এনে দিতে পারেননি ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক, ১৩ রান করে আউট হন তিনি। আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি, তিনি থেমেছেন ২৭ রানে। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ানের গল্পটাও একই, এই ব্যাটার সাজ ঘরে ফিরেছেন ৩৫ রানের মাথায়।

টপ অর্ডারের তিনজন ব্যর্থ হয়েছেন বিশেষ কিছু করতে, কিন্তু আরিফুল ইসলাম সেটার পুনরাবৃত্তি করেননি। আহরার আমীনকে সঙ্গে নিয়ে ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তিনি, আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে নিয়ে গিয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। তাতেই এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান এই ডানহাতি। যদিও সেঞ্চুরির পর বেশিদূর এগুতে পারেননি ১০৩ রান করে আউট হন তিনি।

দলের রান তখন ছিল ৪৫ ওভারে ২৩৭। শেষ পাঁচ ওভারে বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন শিহাব জেমস, তাঁর ১৭ বলে ৩১ রানের ক্যামিওতে ভর করে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ২৯১ রান সংগ্রহ করে টাইগার যুবারা।

জবাবে মার্কিন ওপেনার বৈভ্য মেহতা প্রথমেই রান আউটের ফাঁদে আটকা পড়েন। এরপর অবশ্য সিদ্ধার্থ কাপ্পাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু করেন প্রণভ চেট্টিপালাম। দুজনের ৭৫ রানের জুটি ভেঙে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আরিফুল। খানিক পরে আবারো রান আউট নামক দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয় প্রণভকে।

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ক্রিকেটর নবাগত দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তাঁরা। মিডল অর্ডারে উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ছাড়া আর কেউই বলার মত কিছু করতে পারেননি। দলীয় ১৫৩ রানে উৎকর্ষ আউট হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তাঁদের।

শেষপর্যন্ত সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের যুব দল। তাতে বিশাল এক জয় নিয়ে সুপার সিক্স রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে টিম টাইগার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link