আলিসের ঘূর্ণিতে দিশেহারা সিলেট

আলিস আল ইসলামের ভাগ্য তাঁকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিল। আর সেই সুযোগে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে উড়িয়ে দিলেন তিনি।

ড্রাফটে দল পাননি, এরপর নেট বোলার হিসেবে জায়গা পেয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। কিন্তু আলিস আল ইসলামের ভাগ্য তাঁকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিল। আর সেই সুযোগে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে উড়িয়ে দিলেন তিনি। তাঁর দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বেন কাটিংয়ের শিকার হন লিটন দাস। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে দারুণভাবে পাওয়ার প্লেতে ব্যাট করেন। কিন্তু সপ্তম ওভারে রিজওয়ান আর নবম ওভারে ইমরুল আউট হতেই ধ্বস নামে দলটির ব্যাটিং লাইনআপে।

৭৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত কুমিল্লাকে লজ্জা থেকে রক্ষা করেন জাকের আলী অনিক এবং খুশদিল শাহ। তাঁদের ৪৯ রানের জুটিতে শতরানের গন্ডি পেরিয়ে যেতে পারে দলটি। রিচার্ড এনগারাভা খুশদিলের উইকেট তুলে নিলে থেমে যায় স্কোরবোর্ডের গতি।

শেষপর্যন্ত সবকয়টি ওভার শেষে ১৩০ রান জমা হয় লিটনদের বোর্ডে। মাত্র তিনজন ব্যাটার বিশের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। স্বল্প রানের টার্গেট দিয়ে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে অসম্ভব কিছু করতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

সেটাই করেছেন আলিস, একাই নিয়েছেন চার উইকেট। নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলীকে আউট করেন তিনি; এর আগে মিথুন রান আউটের ফাঁদে আটকা পড়েছিলেন। ফলে পাওয়ার প্লের মধ্যেই সিলেট ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। অষ্টম ওভারে এই স্পিনার বেন কাটিং, মাশরাফি মর্তুজাকে আউট করে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেন।

২৮ রানে ছয় উইকেটের পতন ঘটলে অপ্রত্যাশিত রেকর্ডের ক্ষণ গণনা শুরু করে স্বাগতিক দল। যদিও রায়ান বার্ল, জাকির হাসান সেখান থেকে রক্ষা করেন। দুজনে একসঙ্গে মিলে ৪০ রান যোগ করেছিলেন দলীয় সংগ্রহে; তা না হলে হয়তো আরো আগেই অলআউট হয়ে যেতো স্ট্রাইকার্সরা।

জাকির আউট হওয়ার আগে ৪১ রান করেন, আর বার্লের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। এরপর আর কেউই অতিমানবীয় কিছু করতে পারেননি। তাই তো ৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় মাশরাফির দল; সেই সাথে ৫২ রানে হেরে যায় তাঁরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...