দল বদলে ফর্ম বদল হৃদয়ের

১৩ ম্যাচ, ১২ ইনিংস, ৪০৩ রান – ব্যাটিং গড় ৩৭ আর স্ট্রাইক রেট ১৪০ এর বেশি। এই ছিল ২০২৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তাওহীদ হৃদয়ের পরিসংখ্যান। যেকোনো বিচারে এমন সংখ্যা তত্ত্বের প্রশংসা করতে আপনি বাধ্য। অবশ্য তিনি শুধু প্রশংসা কুড়িয়ে থেমে যাননি, জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন এমন পারফরম্যান্স দিয়ে।

কিন্তু বছর ঘুরতেই অন্য রূপ দেখা গেলো তাঁর, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ডেরা ছেড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিবিরে আসতেই ছন্দ হারালেন। যেই প্রত্যাশা নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা দলে ভিড়িয়েছিল তাঁকে সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারছেন তিনি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত সেরা ১৫ রান সংগ্রাহকের মধ্যে নেই হৃদয়। কুমিল্লার লাল জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে ৪১ বলে ৪৭ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেছিলেন, তাঁর এমন ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং দলের ক্ষতিই করেছিল। পরের ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ডানহাতি।

পুরনো দল সিলেটের বিপক্ষেও খাবি খেয়েছেন তিনি, আট বল ক্রিজে থেকে করেছেন ৯ রান। সর্বশেষ রংপুরের সাথে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ৩৯ রান; কিন্তু জয়ের জন্য তখন আরো অনেক বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে হতো তাঁকে।

সবমিলিয়ে তাই এই তরুণকে সুপার ফ্লপ না বললেও গড়পড়তা বলা যায়। অন্তত এই আসরে তাঁর পারফরম্যান্স মোটেই নামের প্রতি সুবিচার করছে না। অথচ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই তারকা শাহাদাত হোসেন দীপু এবং তানজিদ হাসান তামিম রান পাচ্ছেন নিয়মিত; দুজনে আছেন সেরা দশ ব্যাটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়।

আগের মৌসুমে ৪০০ এর বেশি রান করা একজন ব্যাটার এবার চার ইনিংসে একশতও করতে পারেননি। নেই কোন ফিফটি, ম্যাচজেতানো পারফরম্যান্স তো দূরে থাক।

তবে কি দল বদলানোর প্রভাব পড়ছে তাওহীদ হৃদয়ের ওপর, নাকি স্রেফ অফ ফর্ম? উত্তরটা যাই হোক, দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তাঁকে। কেবল কুমিল্লা নয়, পুরো বাংলাদেশই শঙ্কায় আছে হৃদয়কে নিয়ে এই শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব তাঁর নিজেরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link