ধোনি বনাম কোহলি ও শাস্ত্রীর অবস্থান

টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে সাফল্যময় সময় কেটেছে বিরাট কোহলির অধীনে। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ হারিয়েছিল ভারত, একটানা ৪২ মাস আইসিসির র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান দখলে রেখেছিল। তাছাড়া এই সময়ে পেস বোলিংয়ে একটা বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছিল; মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদবের পাশাপাশি উঠে এসেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজরা।

২০১৪ সালের শেষ দিকে টেস্ট অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছিলেন এই তারকা; সেই বছরই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে স্বল্প সময়ের জন্য টিম ডিরেক্টর হিসেবে প্রবেশ করেন রবী শাস্ত্রী। বছর তিনেক পরে তিনি আবারো ফেরেন, এবার আসেন প্রধান কোচ হিসাবে। এরপর কোহলি-শাস্ত্রী জুটি গড়ে উঠে, যা ভারতের মহাশক্তিশালী হয়ে উঠার পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল।

মাইকেল আথারটনের সাথে আলোচনায় সম্প্রতি শাস্ত্রী কোহলির সাথে কাজ করার ব্যাপারে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, কোহলির মাঝে লুকিয়ে থাকা নেতৃত্বগুণ আগেই বুঝতে পেরেছিলেন।

সাবেক এই কোচ বলেন, ‘দলে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল, তাঁরা অসাধারণ পারফরম করতে পারত। কিন্তু আমি দলগত পারফরম্যান্স দেখতে চাইতাম আর টেস্ট ক্রিকেটে ভাল অবস্থানে যেতে চাইতাম। সেসময় তাঁর (বিরাটের) নেতৃত্বগুণ আমার চোখে পড়ে।’

সেজন্যই মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকাকালীন সময়েই কোহলিকে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘যখন এমএস ধোনি আমাদের অধিনায়ক ছিল, তখন থেকেই আমার নজর ছিল কোহলির দিকে। আমি দায়িত্ব নেয়ার দ্বিতীয় মাসেই তাঁকে বলে দিয়েছিলাম যে হয়তো আরো সময় লাগবে কিন্তু অধিনায়কত্ব করার জন্য প্রস্তুতি নাও।’

টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির ভালবাসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সে পুরোপুরি ডুবে ছিল, তাঁর প্যাশন ছিল এটা। তাই যেকোনো কাজ করার এবং সেরা ক্রিকেটটা খেলার জন্য সে প্রস্তুত থাকতো। যা আমার চিন্তাধারার সাথে মিলে যায়। আপনি যখন অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তানে খেলবেন তখন আপনার কোন অজুহাত নেই এমন মনোভাব থাকতে হবে – কোহলির মানসিকতা ঠিক এমনই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link