কি খেয়ে এত সফল বুমরাহ!

পেসারদের ফিটনেস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা সবসময়ই থাকে। বাড়তি পরিশ্রমের সাথে তাঁদের খাদ্যাভাসের দিকেও দিতে হয় বাড়তি নজর। জাসপ্রিত বুমরাহও এর ব্যতিক্রম নন।

বুমরাহ’র মত যারা তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলে থাকেন তাঁদের তো বড় একটা সময় ব্যয় করতে হয় ফিট থাকার জন্য। আলাদা ডায়েট চার্ট, বিশেষ ধরণের ব্যায়াম – সবই আছে তাঁদের ফিট থাকার নিয়ম মাফিক লড়াইয়ে।

সকালবেলায় প্রায় এক ঘন্টা রানিংয়ের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয় তাঁর। পূর্ণ উদ্যমে এই ঘন্টা দৌড়ান তিনি, ফিট থাকার জন্য এটি সম্ভবত সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। কেননা এমন রানিং দৈহিক শক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে ক্যালরি বার্ন করে থাকে। সাধারণ দৌড়ের পর ট্রেডমিলে আবার সময় দেন এই ডানহাতি। এটি বাড়তি ওজন কমায়, জগিং বা রানিংয়ের চেয়ে বেশি সুবিধাজনকও বটে।

রানিংয়ের পাশাপাশি এই পেসার ওয়েট লিফটিং করে থাকেন। বিভিন্ন ওজনের প্লেট উত্তোলনের মাধ্যমে ফাংশনাল পেশির গঠন ঠিক রাখেন তিনি। সেই সঙ্গে ওয়েট লিফটিং তাঁর গ্রিপ স্ট্রেন্থ এবং কোর স্ট্যাবিলিটি বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়া পিঠ ও কোমরকে আরো শক্তিশালী করতে ডেডলিফট ব্যায়ামের সাহায্য নেন।

শারিরীক ব্যায়ামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সাঁতার। এক্সট্রা ক্যালরি বার্ন করতে এবং শরীরকে সতেজ করে তুলতে এই তারকাও নিয়মিত সাঁতার কাটেন। এটি তাঁকে আরো মজবুত অ্যাথলেটিক বডি তৈরি করতে ও দম বাড়াতে সাহায্য করে।

অবশ্য খাদ্যাভাসেও সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বুমরাহ। প্রচুর পরিমাণে মুরগি, মাছ, ডিম, ডাল খাওয়া হয় তাঁর। এছাড়া খাবারের মেন্যুতে মিষ্টি আলু, ভাতের মত জটিল শর্করাও রাখেন তিনি। যদিও প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কোমল পানীয় থেকে নিজেকে একেবার দূরে রাখেন; অ্যালকোহলের দিকেও বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করতে প্রায় পুরো দিন পানি পান করেন এই ক্রিকেটার। এছাড়া কোমল পানীয়ের পরিবর্তে ফলের জুস খান তিনি; বিশেষ করে নারিকেলের পানি তাঁর বেশ প্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link