আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে উড়ে বেড়াতে হয়েছিল ঈশান কিষাণকে। পরিবার থেকে দিনের পর দিন দূরে থাকা মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে তাঁকে। তাই তো গত বছরের শেষদিকে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।
আর এই ছুটি দারুণভাবে কাজে লেগেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে একটি সূত্র বলে, ‘এমন ব্রেক তাঁর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সে পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছে, এবং পরিবারের সবাই তাঁকে এই কঠিন সময়ে সমর্থন দিয়েছে। মায়ের হাতের রান্না খেতে না পারায় অনেক মন খারাপ করতো, এখন তিন বেলাই মায়ের হাতের রান্না খাচ্ছে।’
সূত্রটি আরো যোগ করে, ‘কখনো সরাসরি না বললেও বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয় কিষাণের মন ভেঙে দিয়েছে। টুর্নামেন্টের পরেই তাই সে ছুটি নিতে চেয়েছিল কিন্তু ম্যানেজম্যান্টের কথায় অনেকটা জোর করেই খেলা চালিয়ে গিয়েছিল – তবে এখন সব ঠিকঠাক, ভাইপো ভিরাজের সঙ্গে সময় কাটছে তাঁর। সে পরিবারের সঙ্গ বেশ উপভোগ করছে।’
বোঝাই যাচ্ছে, এই তরুণ ব্যাটার মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠেছেন। সেজন্যই পুনরায় শুরু হয়েছে তাঁর জাতীয় দলের ফেরার গুঞ্জন। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললে সরাসরি ভারতের জার্সিতে খেলা কঠিন হবে তাঁর জন্য।
অবশ্য টিম ম্যানেজম্যান্ট তাঁকে কোনরূপ জোর করবে না – এমনটা উল্লেখ করে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘আমরা তাঁকে কোন কিছু করতে জোর করব না। আমার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, কি কি ঘটছে সেসব খবর নিচ্ছি। কিন্তু সে এখনো খেলা শুরু করেনি, কখন খেলা শুরু করবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই নতুন করে দলে জায়গা করে নেয়ার লড়াই শুরু করবেন এই বাঁ-হাতি। তাই রঞ্জি ট্রফি নয় বরং ডি.ওয়াই পাটিল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি।
এই ব্যাপারে একটি সূত্র বলে, ‘কিষাণ বোর্ডের কাছ থেকে এনওসি চাইবে। সেটা পেলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) হয়ে খেলবে। আপাতত আইপিএলে ভালো করে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেয়াই লক্ষ্য তাঁর। তবে সব ফরম্যাটে খেলতেই সে সমানভাবে আগ্রহী।’