লিটনের ব্যাটের হাসি ছাপিয়ে সিলেটের জয়

নান্দনিক সব শটে মনোমুগ্ধকর একটা ইনিংস খেলেছেন লিটন দাস, কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে জেতাতে তাঁর ৫৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি। বেনি হাওয়েলের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে মোহাম্মদ মিথুনের দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন কেনার লুইস। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। তবে দুই দেশীয় তারকা নাজমুল শান্ত এবং জাকির হোসেন এদিনও হতাশ করেছেন। আরেক ব্যাটার ইয়াসির আলীও ব্যর্থ হয়েছেন শোচনীয়ভাবে, পাঁচ বলে দুই রান করেছেন তিনি। ফলে ৭৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

এরপরই ত্রাতা হয়ে আসেন বেনি হাওয়েল, অধিনায়ক মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। মিথুন কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও এই অলরাউন্ডার ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে, মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এর আগে অবশ্য ২০ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল স্ট্রাইকার্স দলপতিকে।

শেষপর্যন্ত ৩১ বলে ৬৩ রান অপরাজিত থাকেন হাওয়েল, তাতেই ১৭৭ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। যদিও তারকাসমৃদ্ধ কুমিল্লার জন্য এই লক্ষ্য খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা ছিল না।

কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই ইমরুল কায়েসকে আউট করে তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন সামিত প্যাটেল। ইনফর্ম তাওহীদ হৃদয় সেট হয়েও উইকেট দিয়ে বসেন ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায়। তবে একপ্রান্ত আগলে দলকে জয়ের পথে ধরে রাখেন লিটন। জনসন চার্লসের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তিনি, যেখানে তাঁর অবদানই ছিল সিংহভাগ।

এরই মাঝে ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ওপেনার , কিন্তু অন্যপ্রান্তে চার্লস সন্তোষজনক গতিতে ব্যাট করতে না পারায় আস্কিং রান রেট বেড়ে যায় অনেকটা। মাঝে শফিকুল ইসলামের এক ওভারে কেবল এক রান আসলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয়ের সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে যায়। তবে বিধ্বংসী রাসেল ঠিকই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন।

কিন্তু শেষপর্যন্ত তীরের কাছাকাছি এসেও তরি ভেড়াতে পারেননি উইন্ডিজ অলরাউন্ডার। আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ৮৫ রানে আউট হওয়া ভিক্টোরিয়ান্স কাপ্তানকেও, সেঞ্চুরি মিসের পাশাপাশি ম্যাচ জেতাতে না পারার দুঃখ নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link