২০২২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল ফরচুন বরিশালের। দুই বছর পর সেই কুমিল্লাকে হারিয়ে অপূর্ণ স্বপ্নকে পূর্ণতা দিলো বরিশাল। ফাইনালে বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর কাইল মায়ার্সের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটের জয় সহজ পেয়েছে তাঁরা।
টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া বরিশালকে প্রথম ওভারেই উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন মায়ার্স, স্বদেশী সুনীল নারাইনকে ফেরান তিনি। ইনফর্ম তাওহীদ হৃদয় অবশ্য ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কিন্তু ১০ বলে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। অধিনায়ক লিটনও বরণ করেছেন একই ভাগ্য, ১৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
গত ফাইনালের নায়ক জনসন চার্লসের উপর এবারও ভরসা করেছিল কুমিল্লা, কিন্তু সেট হয়ে উঠে দিয়ে আসেন তিনি। ফলে ৬৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি, রান আউটে মঈন আলী কাটা পড়লে সেই চাপ আরো বাড়ে। তবে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন স্কোরবোর্ড সচল রাখেন, তাঁর ৩৮ রানে ভর করে দলীয় শতক পূর্ণ হয়।
শেষদিকে ক্যামিও খেলেন আন্দ্রে রাসেল, ১৪ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এছাড়া জাকের আলির ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। তাতেই ১৫৪ রানের পুঁজি পায় লিটনের দল।
রান তাড়া করতে নেমে তামিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ কোন সুযোগই দিতে চাইলেন না প্রতিপক্ষকে। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলেছেন দু’জনে, এর ফলে প্রথম ছয় ওভারেই ৫৯ রান করে বরিশাল৷ অষ্টম ওভারে তামিমকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন মঈন, ততক্ষণে অবশ্য ২৬ বলে ৩৯ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে মিরাজ থামলে খানিকটা আশা জেগেছিল ভিক্টোরিয়ান্সদের মনে।
কিন্তু মায়ার্স আর মুশফিক কোন বিপদ ঘটতে দেননি, তাঁদের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিতে ম্যাচের ফলাফল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪৬ রান করে উইন্ডিজ অলরাউন্ডার যখন আউট হন জয় থেকে তখন কেবল ১৪ রান দূরে ছিল তাঁর দল। একই ওভারে মুশিও ফিরে যান সাজ ঘরে; তাতে অবশ্য বরিশালের জয় পেতে সমস্যা হয়নি।
শেষপর্যন্ত বাকি পথ সহজেই পাড়ি মাহমুদউল্লাহ এবং ডেভিড মিলার। এক ওভার হাত রেখেই নির্ধারিত লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত বিপিএলের ট্রফি নিজেদের করে নিলো দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিরা।