একটি দুইটি নয়, কয়েক বলের ব্যবধানে তিন তিনটি জীবন পেয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তাঁকে বারবার হাতের কাছে পেয়েও ভাগ্যের পরিহাসে তালুবন্দি করতে পারেনি ফিল্ডাররা।
প্রথমবার কাট করতে গিয়ে গালিতে প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিলেন তিনি, দুই বল পর প্রায় একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে। পরের বলে আবার টপ এজ, কিন্তু বাউন্ডারি থেকে দৌড়ে এসে বলের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ভাগ্যের আশীর্বাদ বৃথা যেতে দেননি এই তারকা, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলেছেন ৭৫ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কল্যাণে ২২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে মুম্বাই। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা দলকে পুনরায় ম্যাচে ফিরিয়েছেন তিনি।
একাধিক জীবন পাওয়ার ব্যাপারে এই ডানহাতি বলেন, ‘প্রথম ডেলিভারি আসলেই ভাল ছিল। তবে পরের দুইবার আমি ভুল করেছি। বলা হয় তো, ভাগ্য সাহসীদের সাহায্য করে। সেসময় আমাকে সাহায্য করেছিল।’
ফাইনাল ম্যাচের প্রথম দিন লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল মুম্বাই। বিরতি থেকে ফিরে আসার খানিক পরে আরো দুই উইকেটের পতন ঘটে, সেসময় বাইশ গজে আসেন তিনি।
এরপর পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। শেষ ব্যাটার হিসেব প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে মোমেন্টাম নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন এই অলরাউন্ডার; এছাড়া পরের ইনিংসে এক উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়ে নেন।
এর আগে সেমিফাইনালেও দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে একাই লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তামিলনাড়ুর বিপক্ষে সেই ম্যাচে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, সেটিই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।
নিজের ব্যাটিংয়ে উন্নতির জন্য সাবেক ক্রিকেটার বিলাসকে কৃতিত্ব দিয়েছেন শার্দূল। তিনি বলেন, ‘তিনি (বিলাস) আমাকে হাঁটু নমনীয় রেখে বলকে হিট করতে বলেছেন। এই ব্যাপারটি আমি গত দুই ম্যাচে মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং ফলাফলও পেয়েছি।’