বাংলাদেশের বিপক্ষে রশিদ লতিফের ‘ফেইক ক্যাচ’-এর ঘটনা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনার। ২০০৩ সালে টেস্টে ক্যাচ মিস করেও স্বীকার করেননি তিনি, উল্টো মাটি থেকে বল তুলে আউটের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এমন অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ নতুন কিছু নয়, ১৯৯৯ সালে প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন আরেক উইকেটরক্ষক মঈন খান।
চেন্নাইয়ে সেদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। ২৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল স্বাগতিকরা, স্ট্রাইকে তখন সৌরভ গাঙ্গুলি। সেসময় একটা বল অফ সাইডে ড্রাইভ খেলেন তিনি, সেই শট সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো আজহার মাহমুদের পায়ে লেগে বল উপরের দিকে উঠে যায়।
তখন স্ট্যাম্পের পিছন থেকে লাফ দিয়ে সেই বলটা লুফে নেন উইকেটরক্ষক মঈন। যদিও তাঁর গ্লাভসবন্দী হওয়ার আগে বল মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। সেটা উপেক্ষা করেই আম্পায়ারদের উদ্দেশ্যে জোরালো আবেদন করেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আম্পায়াররাও আউট দিয়ে বসেন। তাঁরা টিভি আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনও বোধ করেননি।
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত এই ঘটনা নিয়ে ওয়াসিম আকরাম হাসতে হাসতে বলেন বলটা ৩৬ বার মাটিতে বাউন্স করেছে। অন্যদিকে মঈন বলেন, ‘আমি ক্যাচ ধরার আগে দু’বার বাউন্স হয়েছিল, তবে আমার মনে হয়েছিল আজহারের পায়ে সরাসরি লেগে বলটা উপরে উঠেছিল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সত্যি বলতে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ক্যাচ সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্য কেউ তো দূরে থাক, আম্পায়াররাও বাউন্সের ব্যাাপারটি বুঝতে পারেনি।’
শচীন টেন্ডুলকারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে চেন্নাই টেস্ট জমে উঠেছিল অনেকটা। কিন্তু ১৩৬ রানের মাথায় তিনি আউট হলে ভারতের লোয়ার অর্ডার তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। এর মধ্য দিয়ে ১২ রানের রোমাঞ্চকর একটা জয় পায় ওয়াসিম, মঈনরা। যদিও আলোচিত ক্যাচের ঘটনা না ঘটলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।