ভারতের বিপক্ষে বরাবরই জ্বলে উঠেন ট্রেন্ট বোল্ট। বিশেষ করে ভারতীয় টপ অর্ডারের শক্ত পরীক্ষা নেন তিনি; মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নামের পাশে ইন্ডিয়া থাকায় বোধহয় সেই স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে তাঁর। তাই তো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রূদ্র রূপে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন কিউই পেসার। নতুন বল হাতে একাই দলটির টপ অর্ডার ধ্বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই ধ্বস থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা, তাই তো সহজ জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস; হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে তাঁরা।
এদিন প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হেনেছিলেন বোল্ট; শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল রোহিত আর নামান ধীর। পরের ওভারেই ডেয়ার্ল্ড ব্রেভিসকে একই পথ দেখান তিনি; মাঝে ঈশাণ কিষাণ প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন ঠিকই কিন্তু তাঁকে ১৬ রানের বেশি করতে দেননি আরেক পেসার নান্দ্রে বার্গার।
অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া অবশ্য প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন, তিলক ভার্মাকে সঙ্গী করে গড়েছেন ৫৬ রানের জুটি। তবে যুজবেন্দ্রা চাহাল আক্রমণে আসতেই আবারো তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় ব্যাটিং লাইনআপ। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত বিশ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে ১২৫ রান করতে সক্ষম হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল, তবে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার জস বাটলারও আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে; এছাড়া অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। টপ অর্ডার ব্যাটারদের কাছ থেকে বড় ইনিংস না আসলেও জিততে অবশ্য সমস্যায় পড়তে হয়নি রাজস্থানকে।
রবিচন্দন অশ্বিন এবং রিয়ান পরাগ চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিশ্চিত করেছিলেন ম্যাচের ভাগ্য। তাঁদের মিলিত অবদানে বোর্ডে যোগ হয়েছে ৪০ রান, এতেই দলের দুই পয়েন্ট নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষদিকে বোলারদের উপর আধিপত্য দেখিয়েছেন রিয়ান, অশ্বিনের বিদায়ের পর শুভাম দুবেকে নিয়ে গড়েছেন ৩৯ রানের জুটি; যেখানে তাঁর অবদান ৩০ রান। এর মধ্য দিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করেছেন এই তরুণ, চলতি আইপিএলে এটি তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতক। দলকে জিতিয়ে শেষমেশ ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এখন অবস্থাটা এমন যে বেশ বিপাকেই আছেন হার্দিক পান্ডিয়া, শোনা যাচ্ছে – অধিনায়ক্ত হারাতেও পারেন তিনি!