যেখানেই পাকিস্তান সেখানেই যেন আলোচনা, সমালোচনা সেই সাথে বিতর্ক। অধিনায়ক ইস্যুতে শাহীনের সাথে কোনো ধরণের আলোচনা করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাই তো সম্প্রতি এক ইন্সটাগ্রামের পোস্টের মাধ্যমে শাহীন সতর্ক করলেন সবাইকে।
গত ৩১ মার্চ পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে হঠাৎ সরিয়ে দেয়া হয় শাহীন আফ্রদিকে। নতুন অধিনায়ক করা হয় বাবর আজমকে। এই প্রসঙ্গে তাঁর ইন্সটাগ্রামে করা পোস্টটি বেশ রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
যেখানে তিনি লিখেন, ‘আমাকে এমন কোনো অবস্থায় ফেলবেন না, যেখানে আমাকে আমার খারাপ দিকটি দেখাতে হয়। আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিবেন না। কেননা, এতদিন যাবত আপনি হয়তো আমার ভাল দিকটিই দেখে এসেছেন। তবে যখন আমার ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করবে, তখন আমাকে এমন কিছু করতে দেখবে্ন যা আগে কখনো করতে দেখেননি।’ অন্যায়ভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার ফলে শাহীন কঠিন ব্যাবস্থার দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে বাবর আজমের নেতৃত্বে হতাশাজনক ফলাফল করেছিল পাকিস্তান। যার ফলসরূপ অধিনায়কের স্থান থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাঁর নাম। তাঁর পরিবর্তে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের ভার দেয়া হয় শাহীন আফ্রিদির হাতে।
একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন এই বাঁ হাতি পেসার। নিউজিল্যানডের বিপক্ষে সেই সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। তাই আবারো অধিনায়ক খরায় পড়ে পাকিস্তান।
বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর বাবর আজমের উপরেই আস্থা রাখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সুত্র আনুযায়ী, পিসিবির এই সিদ্ধান্তে শাহীন মোটেও খুশি নন। অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়ে বোর্ডের সাথে যোগাযোগের ঘাটতির কারণেই তাঁর এই অসন্তোষ।
এই প্রসঙ্গে শাহীন বিবৃতি দিলে পিসিবি তাঁদের ভুল বুঝতে পারে। পিসিবি এই ভুল বোঝাবুঝিকে অভ্যন্তরীণ ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করে।