২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের মাটি অস্ট্রেলিয়ানদের প্রিয় হয়ে উঠৈছে। আইপিএলে নিয়ম করে ঝড় তুলছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক ট্রাভিস হেড। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন স্বদেশী তরুণ জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক। অবশ্য সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলাটা উচিত হবে না, কেননা হেডের ঝড়ো ইনিংসের জবাব দিতে গিয়ে টর্নেডো গতিতে ব্যাট করেছেন তিনি।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে৷ আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অজি ওপেনার। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছিল হায়দ্রাবাদ, কিন্তু বড় লক্ষ্যের চাপ তুড়িতে উড়িয়ে দিয়েছেন ম্যাকগার্ক – পূর্বসূরির চেয়ে দ্বিগুণ হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছেন বোলারদের ওপর।
তিন নম্বরে নেমে এদিন মাত্র ১৮ বল খেলতে পেরেছিলেন তিনি; তাতেই করেছেন ৬৫ রান, স্ট্রাইক রেট ৩৬১.১১! এই ইনিংস খেলার পথে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচটি চার এবং সাতটি ছয়। অর্থাৎ বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বল থেকেই ৬২ রান আদায় করেছেন – অতিমানবীয় বললেও বোধহয় কম হবে।
২৬৭ রান করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হন দিল্লির ওপেনার পৃথ্বী শ; তখনি উইকেটে আসেন এই তরুণ, ভুবনেশ্বর কুমারকে বাউন্ডারির ওপারে পাঠিয়ে রানের খাতা খোলেন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে, ওয়াশিংটন সুন্দরের এক ওভার থেকেই নেন ৩০ রান! তাঁর তান্ডব থেকে বাদ যাননি ক্যাঙ্গারু কাপ্তান প্যাট কামিন্সও।
সপ্তম ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, মায়াঙ্ক মারকান্দের তৃতীয় বলে বিশাল এক ছয় হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এই ডানহাতি। সেজন্য তাঁর লেগেছিল স্রেফ পনেরোটি ডেলিভারি, চলতি আইপিএলে এর চেয়ে দ্রুত ফিফটির স্বাদ পায়নি আর কোন ব্যাটার। দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েনিও থামেননি তিনি, আউট হওয়ার আগে শেষ দুই বলে নিয়েছেন বারো রান।
হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দলকে অসম্ভব একটা জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন ম্যাকগার্ক, লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছেন। বয়সে তরুণ হলেও তাঁর আত্মবিশ্বাস প্রশংসা কুড়িয়েছে সবার। অবশ্য আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিচ্ছেন তিনি; হার্ডহিটিং কিংবা দায়িত্বশীল ব্যাটিং দুই দিকেই মুন্সিয়ানা দেখিয়ে চলছেন। এভাবে এগুতে থাকলে শীঘ্রই হয়তো সেরাদের কাতারে দেখা যাবে তাঁকে।