ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে ট্রাভিস হেড রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছেন। তাঁর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন বোলাররা। এবার এই অজি ওপেনারের সাথে পাল্লা দিতে শুরু করেছেন তাঁরই স্বদেশী জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক; পূর্বসূরির মত তিনিও কোন ভয়ডর ছাড়াই চড়াও হতে শিখেছেন প্রতিপক্ষের ওপর।
শুরুতে দল না পেলেও লুঙ্গি এনগিদির চোটের কারণে বদলি হিসেবে দিল্লী ক্যাপিটালস স্কোয়াডে ভিড়িয়েছিল এই তরুণকে। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন; আইপিএলের অভিষেকেই করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি। তবে এবার তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন প্রত্যাশাকেও, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে অতিমানবীয় ব্যাটিং দেখা গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে।
এদিন মাত্র ২৭ বল ক্রিজে টিকেছিলেন এই ব্যাটার; আর তাতে কেবল হাফসেঞ্চুরি নয় বরং তিনশর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৮৪ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন। এসময় এগারোটি চারের সঙ্গে ছয়টি ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই প্রায় ৯৬ শতাংশ রান আদায় করেছেন তিনি।
ম্যাকগার্ক যখন ম্যাচের প্রথম বল মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন তখন তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিশ্বের অন্যতম গতিময় পেসার মার্ক উড। অথচ নূন্যতম সমীহ তিনি করেননি, সেই ওভার থেকে একাই ১৯ রান তুলেছেন। এমনকি বিধ্বংসী জাসপ্রিত বুমরাহও টলাতে পারেননি তাঁকে, হজম করেছেন দুই চার ও এক ছয়। একই তান্ডবলীলা চলমান ছিল পরের ওভারেও।
ফলে ব্যক্তিগত ফিফটির জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি এই ওপেনারকে, ইনিংসের কেবল চতুর্থ ওভারেই পীযুষ চাওলাকে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। মুম্বাই কাপ্তান হার্দিক পান্ডিয়া এগিয়ে এসেছিলেন দলকে বাঁচাতে কিন্তু তিনিও দাঁড়াতে পারেননি তাঁর আগ্রাসনের সামনে।
পাওয়ার প্লে শেষে এই তারকার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ২৪ বলে ৭৮ রান। অবশ্য ভাগ্য ছাড় দেয়নি তাঁকে, চাওলার বলে আউট হয়ে মাত্র ১৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। সেই সাথে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হওয়া থেকেও বঞ্চিত হন তিনি। যদিও যা করেছেন সেটি নিন্দুকদেরও বাধ্য করবে মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করতে।