পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ভয়-ডরহীন এক ইনিংস খেলে গেলেন রজত পতিদার। চোখে-মুখে ছিল না কোনো সংশয় কিংবা কোনো সংকোচ। হাতে খুলে একের পর এক নান্দনিক শটে মুগ্ধ করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দর্শকদের।
ধর্মশালায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুখোমুখি হয় পাঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব দলপতি স্যাম কুরান। তবে তাঁদের হিসেবে গড়মিল করে দেন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। বিশেষ করে রজত পতিদার। পঞ্চম ওভারে বিদ্বাথ কাভেরাপ্পার বলে উইল জ্যাকস সাঝঘরে ফিরে গেলে ২২ গজে আসেন রজত পতিদার। তবে তাঁর দ্বিতীয় বলেই আউট হওয়ার সম্ভাবনা জাগে। পাঞ্জাবের ফিল্ডার হার্শাল প্যাটেল রজতের ক্যাচ তালু বন্দি করতে ব্যর্থ হন। জীবন পান ডান হাতি এই ব্যাটার।
আর তাঁর পরেই মূলত শুরু হয় রজতের ভয়হীন ব্যাটিং। মাত্র ২১ বলে তুলে নেন এবারের আসরের তাঁর চতুর্থ অর্ধশতক। তবে পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কুরানের বলে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাঁঝঘরে ফিরেন এই ডান হাতি। আর সেখানেই তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। মাত্র ২৩ বল খরচ করে ২৩৯ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে করেন ৫৫ রান। যেখানে ছিল ৩ টি চার এবং ৬ টি ছক্কার মার।
তবে যাওয়ার আগে আসল কাজটি ঠিকই করে যান রজত পতিদার। বিরাট কোহলির সাথে গড়েন ৭৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশীপ। যেখানে বল খরচ করেন মাত্র ৩২ টি। ইনিংসের শুরুতেই ফাফ ডু প্লেসিস আর উইল জ্যাকস আউটের পর এই পার্টনারশীপ ব্যাঙ্গালুরুকে একটা ভিত্তি গড়ে দেয়।
দলের প্রয়োজনে বেশ কয়েকবারই কথা বলেছে রজত পতিদারের ব্যাট। এবারের ইনিংস তা আবারো প্রমাণ করলো। দলের অবস্থান নাজুক হওয়া স্বত্বেও রজতের মতো সৈনিকরাই ব্যাঙ্গালুরুর মান রক্ষা করে চলেছে বারবার। বাকি ম্যাচগুলোতেও রজতের ব্যাটে রান আসবে এমনটাই আশা তাঁর ভক্তদের।