চেন্নাই সুপার কিংসের জন্মলগ্ন থেকেই অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে কল্পনা করা তাই কঠিন দর্শকদের জন্য। আবার নতুন কেউ দায়িত্ব পেলে পারফরম্যান্সের পাহাড়সম চাপ তো থাকবেই। তাই তো রুতুরাজ গায়কড় যখন ধোনির জুতোয় পা গলানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তখন সংশয় ছিল তিনি পারবেন কি না। তবে আইপিএলের মাঝপথে এসে তাঁকে নিয়ে বোধহয় কোন সংশয় থাকার কথা নয়।
মাঠে নির্লিপ্ত ভঙ্গিমায় কৌশল বাতলে দেন সতীর্থদের আর ব্যাট হাতে নামলে একেবারে দায়িত্বশীলতা নিয়েই পারফরম করেন – এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলে এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন রুতুরাজ। ব্যতিক্রম হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচেও, অধিনায়কোচিত ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
লো স্কোরিং ম্যাচে এদিন ৪১ বলে ৪২ রান করেছেন এই ব্যাটার। এসময় কেবল একটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে, বাউন্ডারির চেয়ে স্ট্রাইক রোটেটের দিকে বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর। এমন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই নিয়মিত উইকেট হারানো সত্ত্বেও সহজ জয় পেয়েছে চেন্নাই।
শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করেছিলেন এই ডানহাতি, প্রথম দশ ওভার শেষে ২২ বলে ২০ রান করেছিলেন। এসময়টাতে মূলত অন্য প্রান্তের ব্যাটারকে সঙ্গ দেয়ার কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁর যোগ্য সমর্থনের কারণেই ড্যারেল মিশেল, রাচিন রবীন্দ্ররা হাত খুলে খেলতে পেরেছিলেন।
মাঝের ওভারে রাজস্থান অবশ্য জোর চেষ্টা করেছিল ম্যাচে ফেরার। আঁটসাট বোলিংয়ের পাশাপাশি উইকেট তুলে নিয়েছিল নিয়মিত বিরতিতে। তবে রুতুরাজের দৃঢ়তায় ছেদ টানতে পারেনি তাঁরা। শেষ দিকে শক্ত হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেন তিনি, ফলে পাঁচ উইকেট আর দশ বল হাতে রেখে ১৪২ রানের লক্ষ্য টপকে যায় তাঁর দল।
এই জয়ে কোয়ালিফায়ারের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। যদিও নেট রান রেট বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ হাত ছাড়া হয়েছে। বড় জয় তুলে নিতে পারলে প্লে-অফ হয়তো নিশ্চিত হয়ে যেতো দলটির।
তবু দুই পয়েন্ট এনে দেয়ার অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞ হতেই হবে সমর্থকদের। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরম করার ক্ষেত্রে আপোস করছেন না তিনি; নিজের শতভাগ উজাড় করে দিচ্ছেন আইপিএলের এবারের আসরে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই ভারতীয় স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠবেন এই তারকা।