কথায় আছে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে। বিরাট কোহলির জীবনেও এমনই একজন নারী হয়ে আগমন ঘটেছে আনুশকা শর্মার। যিনি কোহলির জীবনে বয়ে এনেছেন সৌভাগ্যের বার্তা, বদলে দিয়েছেন কোহলির জীবন। কোটি কোটি সমর্থকদের ভীড়ে কোহলির সেরা সমর্থক তাই আর কেউ নন, তাঁরই স্ত্রী আনুশকা শর্মা।
বিনোদন জগতে এই দম্পতি ‘ভিরুশকা’ নামেই বেশি পরিচিত। নিজের উজ্জ্বল বলিউড ক্যারিয়ারে আর আগের মতো দেখা যায় না আনুশকা শর্মাকে। সেলুলয়েডের পর্দা ছাপিয়ে আনুশকার আজকাল দেখা মেলে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।
গতকাল রাতে আগুনের ভস্ম থেকে জেগে ওঠা ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। টেবিলের তলানি থেকে প্লে অফে জায়গা করে নেয়াটাই তাঁদের কাছে ছিল হিমালয় জয়ের সমান। ব্যাঙ্গালুরুর প্রতিটি জয়ের নেপথ্য ধারাবাহিকভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন বিরাট কোহলি।
দলের নাজুক অবস্থা আর নিজের স্ট্রাইক রেট ইস্যু নিয়ে সহ্য করেছেন শত সমালোচনার ঝড়। আর কোহলির সেসব দুর্দিনে ঠিকই পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী আনুশকা শর্মা। সাহস দিয়ে গিয়েছেন প্রতি মুহূর্তে। তিনি ছাড়েননি কোহলির হাত পরাজয়ে কিংবা দুর্দিনে।
টানা সতেরো বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) শিরোপার ক্ষুধা বয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়, কোচ আর সমর্থকরা। তাই তো প্লে অফের যাওয়াটাই তাঁদের কাছে পরম আরাধ্য সমতুল্য। কঠিন সময়ে আনুশকা ঠিকই এসেছিলেন স্টেডিয়ামে, কোহলিকে জানিয়েছেন তাঁর সমর্থন। জয়ে করছেন একসাথে উদযাপন আর পরাজয়ে দিয়েছেন সাহস।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে শ্বাস রুদ্ধকর এক ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনে বিরাট কোহলিরা। নিশ্চিত করে প্লে অফে খেলা। সেই বাঁচা মরার লড়াইয়ে জয় পেয়ে আবেগটা ঠিক নিজের মাঝে লুকাতে পারেননি কোহলি। চোখের কোণে তাঁর জমা হয়েছিল জল। আর ভালবাসার অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্যালারিতে থাকা আনুশকার চোখও হয়ে ওঠে ছলছল। জয়ের আনন্দে তাঁরা একইসাথে তাঁদের নয়ন ভাসিয়েছেন জলে।
জয়ে কিংবা পরাজয়ে, হতাশা কিংবা উচ্ছ্বাসে সবসময় কোহলির পাশে থেকেছেন আনুশকা। একজন ক্রিকেটারের জন্য তার পাশে থেকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার ভূমিকা, ২২ গজে তপ্ত দুপুরে টেস্ট খেলারই সমান। আর সেই কঠিনতম কাজটাই দিনের পর দিন করে যাচ্ছেন আনুশকা। এটাই কি ভালবাসা নয়!