বিশালদেহী বদনখানা নিয়ে দীর্ঘ একটা পথ পাড়ি দিয়ে এলেন তিনি। পর মুহূর্তেই আবার ধরেছেন প্যাভিলিয়নের পথ। মাত্র ১ বল স্থায়িত্ব। আজম খানের পাকিস্তানের জার্সিতে আরও একটি বাজে দিনের অধ্যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের। টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে নিমন্ত্রণ দেয় স্বাগতিকরা। তবে সেই আমন্ত্রণ পাকিস্তানের জন্যে বয়ে নিয়ে আসেনি কোন আনন্দ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার আউট হন। তাতে করে পাকিস্তান পড়ে যায় ভীষণ চাপে।
সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়েছেন বাবর আজম ও শাদাব খান। তবে শাদাব খান ৪০ রান করে একটা পর্যায়ে আউট হয়ে যান। এরপর ক্রিজে আসেন আজম খান। ১৩ তম ওভারে তখন পাকিস্তানের রান ৯৮। সেখান থেকে তাণ্ডব চালাবেন আজম, তেমনটিই ছিল প্রত্যাশিত।
তবে সেই তাণ্ডব চালাবার কোন সুযোগই দেননি নস্টুশ কেনজিগে। স্ট্যাম্প লাইনের বলটি স্কিড করে দ্রুতই আঘাত হানে আজম খানের প্যাডে। রিভিউ নিয়েও উপকার পাননি আজম। অগ্যতা শূন্যরানেই ফিরতে হয়েছে ডান-হাতি এই ব্যাটারকে।
তাতে করে আবারও সেই স্বজনপ্রীতির প্রশ্ন নতুন করে হয়েছে জাগ্রত। এখন অবধি পাকিস্তানের জার্সি গায়ে আশানুরুপ পারফরমেন্সের দেখা মেলেনি আজম খানের কাছ থেকে। ১৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোটে ৮৮ রান করেছেন মঈন খানের ছেলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ ও ১৮ রানে অপরাজিত থাকা ছাড়া বলার মত কোন ইনিংসও তিনি খেলতে পারেননি।
তবুও নড়বড়ে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে তার জায়গা হয়েছে। দলের ব্যাটিং অর্ডারের কোন উপকারেই তিনি এখন পর্যন্ত আসতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও ব্যাট ঠিকঠাক চালানোর আগেই ফিরেছেন সাজঘরে। তিনি যেন রীতিমত হয়ে উঠেছেন পাকিস্তান দলের বোঝা।
উইকেটের পেছনেও খুব একটা দৃঢ়তার পরিচয় দিতে পারেননি আজম খান। বিশ্বকাপের মাঝে এখন যথার্থ কারণ ছাড়াও আজম খানকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পাকিস্তানের উপর যেন সত্যিকার অর্থেই বিশাল বড় এক বোঝা হয়ে দাঁড়ালেন আজম খান।