ফিজের ডেথ ওভার ম্যাজিক

কাটার, অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে পিচ করে বলটা বেরিয়ে গেলো ওয়াইড লাইনের কাছ দিয়ে – এক, দুইবার নয়, টানা চারবার একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ওভারে। ব্যাটার কেশভ মহারাজকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন তিনি; বাউন্ডারি আদায়ের পরিকল্পনা করা মহারাজ ব্যাটেই লাগাতে পারেননি টানা চার বল – অসাধারণ বোলিং বটে।

মুস্তাফিজ ফর্মে নেই, মুস্তাফিজ ইজ নেভার কামিং ব্যাক; ক্রিকেটীয় আলোচনায় মুস্তাফিজকে নিয়ে এসব কথা হরহামেশাই হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই অবশ্য, তিনি এখন আর আগের মত আনপ্লেয়েবল কেউ নন। তবু দেশসেরা তিনি, তবু ডেথ ওভারে অধিনায়কের সবচেয়ে বেশি আস্থা তাঁর ওপরে।

কেন সেরা ছন্দে না থেকেও এই বাঁ-হাতিকে মূল্যায়ন করা হয় ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট হিসেবে সেটার প্রমাণ আরো একবার পাওয়া গেলো নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোন উইকেট না পেয়েও তিনি অন্যতম সেরা পারফরমার হয়েছেন, এর কারণ দুর্ধর্ষ ডেথ বোলিং-ই।

বিশতম ওভারে টানা চারটি ডট বলের কথা তো আগেই বলা হয়েছে; সেই ওভারটা শেষপর্যন্ত চার রান দিয়ে সম্পন্ন করেছেন এই পেসার। এর আগে নিজের তৃতীয় ওভারেও ডেভিড মিলারকে হ্যাটট্রিক ডট বল দিতে বাধ্য করেছিলেন তিনি, যদিও সে ওভারের ষষ্ঠ বলে লেন্থে গোলমাল পাকিয়ে ছক্কা হজম করতে হয়েছিল তাঁকে।

তবু টাইগার তারকার মাহাত্ম্য ম্লান হয়নি, পাওয়ার প্লেতে দুই ফিল্ডার বাইরে রেখেই অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন তিনি। মাত্র এক রান দিয়েছিলেন সেই ওভারে, ইনিংসের অষ্টম ওভারে আবার আক্রমণে ছয় রান খরচ করেছেন কেবল।

সব মিলিয়ে মুস্তাফিজ চার ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান! তানজিম হাসান সাকিবের আগুন ঝরানো পারফরম্যান্সের কারণে হয়তো তাঁর এমন পারফরম্যান্স শিরোনাম হবে না, তবে যেভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি সেটার প্রশংসা না করলে অন্যায় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link