১৯ তম ওভার – অন্য মুস্তাফিজ, অনন্য মুস্তাফিজ

কাটার ডাজ দ্য ড্যামেজ – আতহার আলী খানের কণ্ঠে যখন কাটারের প্রশংসা, তখন হিমালয়ের দেশ নেপাল বিধ্বংস নগরীতে রূপ নিয়েছিল। না, মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার আগুনের গোলার মত ধসিয়ে দেয়নি তাঁদের বরং মোহনীয় মায়ার ছন্দে টেনে নিয়ে গিয়েছেন তলানিতে। নিজের শেষ ওভারে একটা, দুটো নয় টানা পাঁচটি ডট বল আদায় করেছিলেন তিনি, এরপর ষষ্ঠ বলে পেয়েছেন উইকেট।

কেশভ মহারাজ, টিম প্রিঙ্গেল, অত:পর দীপেন্দ্র সিং – চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একবিন্দুতে নিয়ে এসেছে তিনজনকেই। তাঁরা সবাই ডেথ ওভারে হাঁসফাঁস করেছেন দ্য ফিজের বিপক্ষে; একের পর এক বল অফ সাইড দিয়ে বেরিয়ে জমা পড়েছিল লিটন দাসের হাতে আর ব্যাটার মাথা কুটে মরেছেন।

বাকি দু’জন অবশ্য ক্ষত-বিক্ষত হয়েও টিকেছিলেন শেষমেশ, কিন্তু নেপালি তারকা সেটাও পারেননি। আউট হয়ে দায়মুক্ত হয়েছেন, সেই সাথে জয়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি নি:শেষ করে দিয়েছেন।

চার ওভারে নেপালের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান, ক্রিজে ছিলেন দুই সেট ব্যাটার। জয়ের দিকে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল দলটি, কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল শান্ত কাটার মাস্টারের হাতে বল তুলে দিতেই সব হিসেব নিকেশ উবে যায় বাতাসে।

তাঁর দুই ওভারের স্পেলে রান নেয়া তো দূরে থাক, ব্যাটেই বল লাগেনি ঠিকঠাক। পুরোটা সময় লিটনকে কিপিং অনুশীলন করিয়েছেন তিনি।

এদিন ডেথে ১২ বল করে ১১টি ডট বল আদায় করেছেন এই টাইগার পেসার, খরচ করেছেন এক রান আর উইকেট পেয়েছেন দুইটি। সবমিলিয়ে চার ওভার বোলিং করে স্রেফ সাত রানের বিনিময়ে তিন উইকেট যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে – অবিশ্বাস্য। শুধু এ ম্যাচেই নয় পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ‘বাঁ-হাতি মুরালি’ যা করছেন সেটা অলৌকিক কিংবা অতিমানবীয় বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link