ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইতালির বিরুদ্ধে দ্রুততম গোল দিয়ে শুরু করেছিল আলবেনিয়া। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও দ্রুত সময়ে গোল দিয়ে ম্যাচ শুরু করেন তাঁরা।
ম্যাচের ১১তম মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার জালে বল ঢুকায় আলবেনিয়ার কোয়াজিম ল্যাসি। শুরুতেই গোল হজম করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয় ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়েরা। প্রথম হাফে বিপক্ষ দলের গোল পোস্টে কোনো শট নিতে ব্যর্থ হয় তাঁরা।
অন্যদিকে দারুণ শুরু করে ম্যাচে অধিপত্য বিস্তার করতে থাকে আলবেনিয়া। তবে দূর্দান্ত খেলার পরও একের পর এক সুযোগ মিস করতে থাকে তাঁরা। ক্রোয়েশিয়ার নড়বড়ে ডিফেন্সের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় আলবেনিয়ানরা।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয় অর্ধে খেলার মোড় ঘুরে দেয় ক্রোয়েশিয়া। উল্টো আলবেনিয়ার ডিফেন্সের পরীক্ষা নিতে থাকে তাঁরা। শেষ পর্যন্ত দুই মিনিটের ব্যাবধানে দুইটি গোল হজম করে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে আলবেনিয়া।
প্রথমেই আন্দ্রেজ ক্রামারিকের অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ম্যাচে সমতায় ফেরে ক্রোয়াটরা। এর ২ মিনিট পরেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে ফেলেন গজাসুলা। ফলে ১-২ ব্যাবধানে পিছিয়ে পড়ে তাঁরা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল করে দলকে কিছুটা স্বস্তি দেন তিনি। ফলে ২-২ গোলের সমতায় এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
এমন ফলাফলে অবশ্য সন্তুষ্ট হবেন না ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া। ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের তলানিতে রয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে ৩-০ হার দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ক্রোয়েশিয়া। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প নেই তাঁদের।