জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের নিঃসঙ্গ নাবিক

হতে পারে এটা দ্বিতীয় সারির দল, হতে পারে অভিজ্ঞতা শূন্য একাদশ তবু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত বলে কথা। তাঁদের হারানোটাই জিম্বাবুয়ের জন্য ঈদের মতই ব্যাপার – আর দেশকে এমন উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেয়ার পুরোধা একজন সিকান্দার রাজা। সত্যিকারের নেতার মতই যিনি দলের হাল ধরেছেন, অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ইতিহাস গড়ার পথ খুলে দিয়েছেন।

ভারতের বিপক্ষে এদিন টসে হেরে দিন শুরু করেছিলেন এই ডানহাতি। কিন্তু সেটাই শেষ, এরপর থেকে কেবল সফলতার সাথে দেখা হয়েছে তাঁর। ব্যাটারদের বধ্যভূমি হয়ে উঠা উইকেটে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা, মিডল অর্ডারে তিনি নিজেই হাল ধরেছেন।

১৭ বলে ১৯ রান সংখ্যাতত্ত্বে হয়তো আহামরি নয়, কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা মহামূল্যবান বটে। যদিও এই অলরাউন্ডার আসল কাজ করেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে, বল হাতে। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে তিন তিনটি উইকেট শিকার করেছেন তিনি; মাঝের ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মত পারফরম্যান্স এসেছে তাঁর ঝুলি থেকে।

বাইশ গজে সেট হয়ে যাওয়া ভারতীয় অধিনায়ক শুভমান গিলকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খুলেছিলেন রাজা। পরের ওভারেই আবার রবি বিষ্ণয়কে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন তিনি। ৪৭ রানে পাঁচ উইকেট থেকে টিম ইন্ডিয়া তখন ৬১ রানে সাত উইকেটের দলে পরিণত হয়।

নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে মুকেশ কুমারের উইকেট তুলে নেন জিম্বাবুইয়ান দলপতি। স্বাভাবিকভাবেই এতে চাপ বেড়েছিল সফরকারীদের ওপর, সেই সাথে ত্বরান্বিত হয়েছিল জয়। ধারাবাহিকভাবেই অবশ্য এমন দিন পার করছেন তিনি; সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় ম্যাচউইনার বনে গিয়েছেন।

ব্যাটিং, বোলিং, অধিনায়কত্ব কিংবা ফিল্ডিং – সব বিভাগেই অবদান রাখছেন এই তারকা। আফ্রিকান প্রতিনিধিদের পোস্টারবয় বলা চলে তাঁকে। হয়তো ছোট দল বিধায় আলোচনায় আসেন না তেমন, তবে ক্রিকেট মাঠে নিশ্চয়ই একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link