চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো ছিলই, সেই সাথে ইউরো আর কোপা আমেরিকা – ২০২৩/২৪ মৌসুম ফুটবল সমর্থকদের দিয়েছে ঈদের মত আনন্দ। এখন অবশ্য বিরতিতে আছে সবকিছু, তবে আলোচনা থেমে নেই। বিশেষ করে এবারের ব্যালন ডি’অর কে পাবে সেটা নিয়ে বিস্তর আলাপ হয় যে কোনো ফুটবলীয় আলোচনায়।
যদিও ব্যালন ডি’অর কে পাবে সেটা জানার বাকি আছে এখনো, তবে সদ্য বিদায়ী আসরের পারফরম্যান্স এবং অর্জন বিবেচনায় কারা এগিয়ে আছেন সেই তালিকা নি:সন্দেহে তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে সবার আগে রাখতে হয় ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। ২৬ গোল, ১২ অ্যাসিস্ট, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর লা লিগার পাশাপাশি স্প্যানিশ সুপার কাপ আছে তাঁর ঝুলিতে। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন তিনি।
কিন্তু কোপা আমেরিকাতে একদমই ভাল সময় কাটেনি তাঁর, এরই সুবাদে কাছাকাছি চলে এসেছেন রদ্রি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেননি ঠিকই, তবে প্রিমিয়ার লিগ, ইউরো এবং ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। মিডফিল্ডার হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অর্জনের খাতায় আছে ১২ গোল আর ১৫ অ্যাসিস্ট। এই তারকা ব্যালন জিতলে তাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মূল প্রতিযোগিতা ভিনি আর রদ্রির মাঝে হলেও জুড বেলিংহ্যামও কম যাননি গত আসরে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রথম খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছেন তিনি। দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার হিসেবে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর লা লিগা, যদিও ইউরো শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় পিছিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।
লাউতারো মার্টিনেজের কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। গত মৌসুমে ৩৫ গোল করেছেন, সাথে আটটি অ্যাসিস্টও আছে; এরই সুবাদে কোপা আমেরিকা, সিরি এ যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে। দুই টুর্নামেন্টেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি। এখন দেখার বিষয়, ফুটবল বিশেষজ্ঞরা তাঁকে সেরা তিনে রাখেন কি না।
দানি কারভাহাল অবশ্য ‘বিশেষ’ ট্রেবল জিতেছেন; অল হোয়াইট জার্সিতে দু’টি মেজর ট্রফি জেতার পর জাতীয় দলের হয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবেও এই স্প্যানিশ ছিলেন উজ্জলতম তারকাদের একজন; তাই তো ডিফেন্ডার হওয়া সত্ত্বেও ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তত থাকবেন তিনি, সেই প্রত্যাশা করা যায়।