সেই ২০১২ সালের পর আবারও ইউরোপের সেরার শিরোপা উঠেছে স্পেনের হাতে। এই জয়যাত্রায় স্পেনের তরুণ লামিন ইয়ামাল কেড়েছেন নজর। দারুণ পারফরমেন্সের সুবাদে টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার জিতেছেন রদ্রি। তবে স্পেন দলটায় ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন দানি অলমো। সেই অলমোর জীবনের এবার আসছে নতুন বসন্ত।
এক সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে বার্সেলোনার ঘরের ছেলে ফিরছেন আবার ঘরে। বার্সেলোনা যে আবার দু’হাত প্রসারিত করে ডেকে নিয়েছে তরুণ এই ফুটবলারকে। শোনা যাচ্ছে চুক্তি প্রায় নিশ্চিত। ২০৩০ অবধি তিনি থাকতে চলেছেন কাতালুনিয়াতে। সেই ২০১৫ সালে ছেড়েছিলেন ঘর। লা মাসিয়াতে দীক্ষা নিয়েছেন তিনি। এরপর চলে গিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়াতে।
সেখানে ডায়নামো জাগরেভের দ্বিতীয় সারির দল থেকে প্রথম সারির দলে জায়গা করে নেন। এরপর সেখানে কাটান প্রায় বছর পাঁচেক। জাগরেভ থেকে জার্মান ক্লাব লাইপজিগে গিয়েছিলেন। সেখানে কাটিয়েছেন দারুণ সময়। তবে খুব একটা আলোচনায় তিনি আসেননি। মাঝেমধ্যে কোন এক কলামে ছোট্ট করে হয়ত জায়গা হয়েছিল তার।
তবে সেই দশা ঘুচিয়েছেন তিনি ২০২৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে। নিজের পারফরমেন্সে বদলে দিয়েছেন গোটা স্পেনের সার্বিক চিত্র। মাঝমাঠের মধ্যমণি হয়ে তিনি স্পেনের আক্রমণভাগকে প্রভাবিত করেছেন। তার সেই পারফরমেন্স নজর কেড়েছে সবার। তাইতো খোদ বার্সেলোনা তাকে আবার ফিরিয়ে এনেছে নিজেদের ডেরায়।
এখনও অবশ্য ঠিক হয়নি তার দরদাম। তবে শারীরিক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত করেছে বার্সেলোনা। নতুন মৌসুমেই ব্লাউগানাদের জার্সিতে দেখা যাবে দানি অলমোকে। বার্সেলোনার আক্রমণভাগে তিনি নিশ্চিতরূপেই বাড়তি একটা স্বস্তির জোগান দেবেন।
গেল মৌসুমে শুধু যে রেড ফিউরিদের হয়েই দারুণ খেলেছেন তিনি, বিষয়টি তাও নয়। মিডফিল্ডার হিসেবে ২৫ ম্যাচে ১৩ খানা গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন তিনি ক্লাবের হয়ে। এছাড়াও মাঠে কোচের কৌশল বাস্তবায়নের কাজটাও যথাযথভাবে করে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন অলমো।
এছাড়াও বর্তমান বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বেশ কাছ থেকেই দানি অলমোর খেলা দেখেছেন। যেহেতু তিনি জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের গুরু ছিলেন। সেহেতু তার পছন্দও প্রাধান্য পেয়েছে। বার্সেলোনার বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে ইউরোতে অলমোর পারফরমেন্স। ঠিক সে কারণেই সম্ভবত আবারও ঘরে ফেরার সুযোগ মিলছে তার। রাঙিয়ে রাখতে চাইবেন নিশ্চয়।