সাদা পোশাকে নিজেদের ইতিহাসে আগে কখনোই বাংলাদেশের কাছে হারেনি পাকিস্তান, কোন দলের বিপক্ষেই আগে কখনো দশ উইকেটে হারেনি তাঁরা। অথচ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বদলে গেল সবকিছুই, বাংলাদেশের বিপক্ষেই দশ উইকেটে হারার তিক্ত স্বাদ পেয়েছে দলটি। টাইগাররা তাঁদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে।
এমন অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর ড্রেসিংরুমে কি হয়েছে, তা পাকিস্তানের গণমাধ্যমের সুবাদে বিস্তারিত জানাও গেছে। ব্যাটিং কিংবা বোলিং – এক বিভাগ আরেক বিভাগের ওপর দোষারোপ করছেন। তবে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্ট বোলারদেরই দায়ী করছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বোলিং আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রচন্ড হতাশ হয়েছেন কোচ সহ ম্যানেজম্যান্টের বাকি সদস্যরা। এমনকি দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আঙুল তুলেছেন বোলারদের দিকে। তাঁদের মতে, বাংলাদেশী বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারলেও স্বাগতিকদের কাছ থেকে সে রকম কিছু দেখা যায়নি।
রাওয়ালপিন্ডিতে বোলিং বিভাগে পাকিস্তান অবশ্য কেবল পেসারদেরই রেখেছিল, চার পেসারের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে ছিলেন পার্ট টাইমার আঘা সালমান। তাই তো দায়টা পড়ছে পেসারদের ঘাড়ে, উইকেটে ঘাস থাকলেও সেটার ফায়দা নিতে পারেননি কেউই। নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদির মত তারকারাও ম্লান ছিল টাইগার ব্যাটারদের বিপক্ষে।
দলটির পেস ব্যাটার সক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে সেটা অবশ্য স্বীকার করছে টিম ম্যানেজম্যান্টও। আর সেজন্য যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তাঁরা, বিশেষ করে পেসারদের গতি কমে যাওয়া নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা রয়েছে তাঁদের।
সিরিজ হার এড়ানোর লক্ষ্যে এবার দলটির চোখ দ্বিতীয় টেস্টের দিকে, রাওয়ালপিন্ডিতেই আগামী ৩০ আগস্ট পুনরায় মাঠে নামবে দুই প্রতিপক্ষ। সেই ম্যাচে যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে স্বাগতিকদের – সেজন্য বোলারদের দায়িত্ব নিতে হবে, একই সাথে উপযুক্ত কম্বিনেশনও খুঁজে বের করতে হবে নীতিনির্ধারকদের। এক্ষেত্রে হয়তো একজন পেসার কমিয়ে একাদশে নেয়া হবে আবরার আহমেদকে।