নিজের জন্মদিনে জেমস ম্যাডিসনকে মুখোমুখি হতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির, সেটা বোধহয় পছন্দ হয়নি তাঁর। তাই তো ইতিহাদে রীতিমতো ম্যাডনেসের সৃষ্টি করেছেন তিনি, ধুঁকতে থাকা প্রতিপক্ষকে ধুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন। যা আশা করেনি ম্যানসিটি সমর্থেকরা, যা আশা করেনি স্বয়ং টটেনহ্যামের সমর্থকেরা সেটাই করেছেন – তাঁর দুই গোলের সুবাদে ৪-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে সফরকারীরা।
এই নিয়ে কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত টানা পাঁচ ম্যাচ হারের স্বাদ পেলেন পেপ গার্দিওলা। টটেনহ্যামের বিপক্ষেই শুরু হয়েছিল পরাজয়ের ধারা, ঘুরেফিরে সেই দলটার কাছেই আবার হারতে হলো তাঁকে। মাঝে বোর্নমাউথ, স্পোর্টিং সিপি আর ব্রাইটনের মত দলের কাছে হেরেছিল তাঁর শিষ্যরা।
এদিন ম্যাডিসন নামক ঝড়ের শুরুটা হয়েছিল ১৩ মিনিটের মাথায়, রাইট উইং ধরে আক্রমণে উঠে এসে ডি বক্সে ক্রস করেছিলেন ডেজান কুলুসেভস্কি। একেবারে নিখুঁত টাইমিংয়ে তখনি বলের কাছে হাজির হন ম্যাডিসন, অতঃপর ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে দলকে এনে দেন আরাধ্য লিড।
পিছিয়ে পড়ার চাপ সামলে উঠার আগেই ম্যানসিটি আবারো পড়ে এই ইংলিশম্যানের তোপের মুখে। এবার হিউং মিন সনের কৃতিত্বে বল পেয়ে যান তিনি, সিটি গোলরক্ষক এডারসনের মাথার উপর দিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন।
মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে ম্যাচের বাকি অংশে একক আধিপত্য দেখিয়েছে টটেনহ্যাম। প্রথমার্ধে আর কোন গোল না পেলেও বিরতি থেকে ফিরেই লিড তিনগুণ করেন পেদ্রো পোরো। ডমিনিক সোলাঙ্কের কাটব্যাক আর তাঁর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের সুবাদে আরো একবার উদযাপনের উপলক্ষ পায় স্পার্স ভক্তরা।
ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ম্যানসিটির কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন ব্রেননান জনসন। কাইল ওয়াকার, স্টোনসদের চেয়ে চেয়ে দেখাটা ছাড়া করার ছিল না কিছুই; এককথায় অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন তাঁরা।
রদ্রি নেই, রুবেন দিয়াস নেই – তবু ম্যানচেস্টার সিটি ইউরোপের অন্যতম সেরা দলগুলোর একটি। অথচ ফলাফল বলছে ভিন্ন কথা, টানা পরাজয়ে এখন বিপর্যস্ত সিটিজেনরা। কবে নাগাদ ঘুরে দাঁড়াবে তাঁরা সেটা স্রেফ সময়ই বলতে পারে।’