Social Media

Light
Dark

ভিনি-এমবাপ্পে আড়ালেও শানিত রিয়ালের বেঞ্চ শক্তি

এই যেমন ব্রাহিম দিয়াজ, মাঠে এসেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে। এরপর তিনি যা করলেন সেটা চোখে লেগে থাকার মতই। একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত একটা গোল করেছিলেন তিনি, শেষদিকে আবার এন্ড্রিককে অ্যাসিস্টও করেছেন। এসি মিলানের হয়ে ধারে খেলার ২০২৩ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন এই তরুণ, এরপর থেকে অল হোয়াইট জার্সিতে বনে গিয়েছেন সুপার সাব।

মৌসুমের প্রথম ম্যাচে হোঁচট গেলেও রিয়াল মাদ্রিদ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পরের ম্যাচেই। ৩-০ গোলে রিয়াল ভায়োলিদাদকে উড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা; কিন্তু আক্রমণভাগের তিন তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র আর রদ্রিগো তিনজনই ছিলেন ম্লান, তবুও তিন পয়েন্টের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি – আর এর মূল কারণ দলটার বেঞ্চের শক্তি এবং ভার্সেটাইল ফুটবলাররা।

দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করে রিয়াল। লাস পালমাসের সাথে ড্র হয় ১-১ ব্যবধানে। তবে, রিয়ালের শক্তিশালী আক্রমণভাগ ছিল নিজেদের ছায়া হয়েই। তবে, এর বাইরেও রিয়ালে কিছু বলার থাকবে নিশ্চয়ই।

এই যেমন প্রথম ম্যাচে ব্রাহিম দিয়াজ, মাঠে এসেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে। এরপর তিনি যা করলেন সেটা চোখে লেগে থাকার মতই। একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত একটা গোল করেছিলেন তিনি, শেষদিকে আবার এন্ড্রিককে অ্যাসিস্টও করেছেন। এসি মিলানের হয়ে ধারে খেলার ২০২৩ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন এই তরুণ, এরপর থেকে অল হোয়াইট জার্সিতে বনে গিয়েছেন সুপার সাব।

অন্যদিকে এন্ড্রিক তো লা লিগা অভিষেকে গোল করে দখলে নিয়েছেন লাইমলাইট। আক্রমণভাগে কার্লো আনচেলত্তির ভরসার অপশন হয়ে উঠতে সময় লাগবে না তাঁর – যদিও বেঞ্চের সবচেয়ে বড় নাম লুকা মদ্রিচ। বর্ষীয়ান এই মিডফিল্ডার সবশেষ ম্যাচেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, বদলি হিসেবে মাঠে নামার পর থেকে মাঝমাঠ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলেন।

ইনজুরির কারণে রিয়ালের অন্যতম ভরসা জুড বেলিংহ্যাম ছিটকে পড়েছিলেন, কিন্তু কি আশ্চর্য! তাঁর অভাব একটুও বোধ করেনি লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। আর্দা গুলার যতক্ষণ ছিলেন বেলিংহ্যামের মতই খেলেছেন, এছাড়া নাম্বার ফেদে ভালভার্দে বল ক্যারি করার বাড়তি দায়িত্বটুকু পালন করেছেন। ফ্রি কিক থেকে প্রথম গোলটা তিনিই করেছিলেন।

লা লিগায় দুই ম্যাচেও গোলশূন্য কিলিয়ান এমবাপ্পে আর ভিনিসিয়াস জুনিয়র; রদ্রিগো এক গোল করলেও পুরোপুরি ছন্দে নেই। অন্য যেকোনো সময় এমন পরিস্থিতিতে নির্ঘাত মাথা খারাপ হয়ে যেত সমর্থকদের। কিন্তু এখন কি নিশ্চিন্তেই আছে তাঁরা; কেননা ভরসা করার মত ব্যাকআপ রয়েছে স্কোয়াডে!

দিয়াজ, গুলার, মদ্রিচ কিংবা কামাভিঙ্গা – এরা যেকেউ অন্য প্রায় সব দলের শুরুর একাদশে খেলার দাবিদার, অথচ এরা রিয়াল মাদ্রিদে বেঞ্চেই থাকবেন বেশিরভাগ সময়। দলটার শক্তি আসলে এখানেই; এমবাপ্পে হয়তো ৩০ গোল করবেন, ভিনি হয়তো ২০ গোল করবেন তবে তাঁদের অনুজ্জ্বল দিনে দিয়াজ, গুলাররাই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর মর্যাদা রক্ষা করবে।

Share via
Copy link