একটা সময় বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করা হত আহমেদ শেহজাদকে। কিন্তু বিরাট যখন খ্যাতির চূড়ায়, শেহজাদ তখন জাতীয় দল থেকে বহুদূরে। তবে বয়স ত্রিশের কোটা পেরিয়ে গেলেও জাতীয় দলে ফিরতে মরিয়া তিনি। যদিও এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে নয় বরং ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।
ইনজুরি বা ব্যক্তিগত কোন সমস্যার কারণে নয়; পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ব্যাটার। এক্সে (টুইটার) নিজের একাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করেছেন, যা এখন পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনের হট টপিক।
তিনি লিখেছেন যে, ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমি ডমেস্টিক ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন্স কাপে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পিসিবির স্বজনপ্রীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ঘরোয়া অঙ্গনের ক্রিকেটারদের প্রতি অন্যায় মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
মেন্টর নিয়োগের মাধ্যমে উদীয়মান তারকাদের সাহায্যের নতুন পন্থা তৈরি করেছিল পিসিবি। কিন্তু সেটা শেহজাদের চোখে স্রেফ অর্থের অপচয়। তিনি বলেন, ‘যখন পাকিস্তান দরিদ্রতা, মুদ্রাস্ফীতি, বৈদ্যুতিক বিলের ঊর্ধ্বগতির সমস্যায় ভুগছে পিসিবি তখন মেন্টরদের পিছনে পাঁচ মিলিয়ন রুপি নষ্ট করছে যারা আসলে কোন কাজের নয়। যেসব ক্রিকেটার পাকিস্তানকে ডোবানোর জন্য দায়ী তাঁদেরকেই পুরষ্কার দেয়ার ব্যবস্থা করেছে এই মেন্টররা।’
এছাড়া দলে পরিবর্তন আনার মত যথেষ্ট অপশন নেই, পিসিবি বসের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘পিসিবি মনে করে দলে সার্জারি করার মত যথেষ্ট উপকরণ নেই। এটা উদীয়মান ক্রিকেটারদের জন্য অসম্মানজনক। আমি মেধার কোন দাম নেই এরকম একটি সিস্টেমকে সমর্থন করতে বা এর অংশ হতে পারি না।’
বাংলাদেশর বিপক্ষে হারকে তিনি অবশ্য দেখছেন পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা হিসেবে। তাঁর মতে, এর জন্য কেবল ক্রিকেটারদের দায়ী করলে ভুল হবে, পিসিবির অদূরদর্শিতার দায়ই বরং সবচেয়ে বেশি। বোর্ডের স্বল্প মেয়াদী সিদ্ধান্তের কারণেই ক্রমাগত তলানিতে ঠেকছে দলের পিঠ।