Social Media

Light
Dark

যে জুটিতে আগুন জ্বলে

সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে ফেলেন মিরাজ ও লিটন।

বিপর্যয় সামলেও বিমর্ষ মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি জানতেন যে, তার কাজ স্রেফ বিপর্যয় সামাল দেওয়া নয়। তিনি চাইলেই দলকে আরও স্বস্তিদায়ক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু বেশ সহজ এক ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি প্যাভিলিয়নে। এর আগে অবশ্য দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সপ্তম উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন লিটন দাসের সঙ্গে।

২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চূড়ান্ত লজ্জার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল। সেই মুহূর্তে বাইশ গজে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিক করে নেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন এই দুই ব্যাটার। পাকিস্তানি পেসারদের সব রকম পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে থাকেন মিরাজ ও লিটন।

কখনো শর্ট বল, কখনো আবার উইকেটের চ্যানেলে বল- পাকিস্তানের সকল পরিকল্পনাই ভন্ডুল করে দেয় এই জুটি। মিরাজ আউট না হলে, হয়ত এই জুটির রানের সংখ্যা বাড়ত নিঃসন্দেহে। মিরাজের প্রস্থানে ১৬৫ রানে থামে এই জুটির পথচলা। ততক্ষণে অবশ্য বেশ কিছু রেকর্ড হয়ে গেছে গড়া।

সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে ফেলেন মিরাজ ও লিটন। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচেই সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন মেহেদী মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। ইতিহাসে বেশ বিরল এই ঘটনা।

টানা দুই টেস্টে সপ্তম উইকেটে ১৫০ বা তার বেশি রানের জুটি হওয়ার ঘটনা এটা দ্বিতীয়। এর আগে ২০০৫ সালে এই রেকর্ড গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পরে এসে সে রেকর্ড নতুন করে সামনে নিয়ে এলেন, মিরাজ, মুশফিক ও লিটনরা।

বিরল এই রেকর্ড গড়েও অবশ্য বিন্দুমাত্র স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের রান থেকে বহুদূরে থাকতেই অবসান ঘটে দুর্দান্ত এই জুটির। যদিও এই জুটি গড়ার পথে মিরাজ নিজের ক্যারিয়ারেও একটা মাইল ফলক স্পর্শ করেছেন। টানা তিন টেস্টে নিদেনপক্ষে পঞ্চাশ রান করেছেন মিরাজ। পাঁচ উইকেট পাওয়ার পর পিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে ৭৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। অলরাউন্ডার সত্ত্বার পূর্ণ বিচরণ বটে।

Share via
Copy link