Social Media

Light
Dark

বাবরের এমন ব্যর্থতার কোনো সান্ত্বনাও নেই!

হয়তো কথাটা সত্যি, টেকনিক্যালি সলিড হলে আট বা দশটা ইনিংসের মধ্যেই রানে ফেরা সম্ভব। বাবর আজমের খুব সম্ভবত টেকনিকেই গোঁজামিল তৈরি হয়েছে। টুইট করে ব্যাড প্যাচে থাকার বিরাট কোহলিকে এক সময় সাহস দিয়েছিলেন তিনি, এবার বোধহয় সেই সাহসটাই প্রয়োজন তাঁর নিজের।

বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়ামসনদের সঙ্গে উচ্চারিত হয় বাবর আজমের নাম; অনেকে আবার মনে করেন প্রজন্মের ফ্যাভ ফোরের চেয়ে একটা সময় এগিয়ে যাবেন তিনি। অথচ এখন ব্যর্থতার ডালি সাজিয়ে বসেছেন, তাঁর ব্যাট পরিণত হয়েছে মরা নদীতে। টানা ১৬ ইনিংস একবারও হাফ-সেঞ্চুরি করতে দেখা যায়নি তাঁকে!

হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, ১৬ ইনিংস ধরে অর্ধ-শতকের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি এই ডান-হাতি। সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাঁর ব্যাট থেকে ফিফটির দেখা পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজেও হতাশ করেছেন তিনি; দলের ব্যাটিং লাইন আপের সবচেয়ে বড় আস্থা হয়েও সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোন রান না করেই আউট হয়েছিলেন এই ব্যাটার, দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য বাইশ রান করেছেন। কিন্তু শূন্য রানের মাথায় লিটন দাস সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে ‘পেয়ার’ এর স্বাদ পেতে হত তাঁকে। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় টেস্টে অন্তত তিনি ঘুরে দাঁড়াবেন সেটাই ভেবেছিল পাকিস্তানি সমর্থকেরা।

কিন্তু সেই আশায় গুঁড়ে বালি, এই ম্যাচের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩১ এবং ১১ রান করেছেন বাবর। চার ইনিংসের প্রতিটা বারই তিনি যখন উইকেটে এসেছেন পাকিস্তান তখন চাপের মুখে। দলের মেইনম্যান হিসেবে তাঁর উচিত ছিল দায়িত্ব নেয়া; লিটন কিংবা মুশফিকের মত অতিমানব হয়ে ওঠা। কিন্তু মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়া ব্যতিত কিছুই হলো না তাঁকে দিয়ে।

স্বাভাবিকভাবেই ব্যঙ্গ বিদ্রূপ চরমে উঠেছে, নিন্দুকেরা দাবি করছেন নেপাল, জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ আয়োজন করলে তবেই বোধহয় ফর্মে ফিরবেন এই তারকা। আবার কেউ কেউ বলছেন তাঁকে কিং ডাকা হয় ঠিকই, কিন্তু কিংয়ের ‘কে’-ও নেই তাঁর মধ্যে।

হয়তো কথাটা সত্যি, টেকনিক্যালি সলিড হলে আট বা দশটা ইনিংসের মধ্যেই রানে ফেরা সম্ভব। বাবর আজমের খুব সম্ভবত টেকনিকেই গোঁজামিল তৈরি হয়েছে। টুইট করে ব্যাড প্যাচে থাকার বিরাট কোহলিকে এক সময় সাহস দিয়েছিলেন তিনি, এবার বোধহয় সেই সাহসটাই প্রয়োজন তাঁর নিজের।

Share via
Copy link