ভারত বধের ঠিক কাছ থেকে ফিরেছে বাংলাদেশ

এরপর সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে ভারত রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে। ৫৬ রান তুলতেই নিজেদের ৫টি উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া।

বাংলাদেশ যেন একের পর এক অধরা জয়গুলোকে করছে মুষ্টিবদ্ধ। তেমনই এক জয়ের সংকল্প নিয়ে ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে টাইগাররা। পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে বেশ আলোচনায় রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চাঙ্গা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতের বিপক্ষেও অধরা জয়ের অন্বেষণ করবে বাংলাদেশ।

মোট ১৩টি টেস্ট ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। দুইটি টেস্ট ড্র করতে পারলেও, ১১টি ম্যাচেই জয় গিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে। দুঃখজনক হলেও সত্য, অধিকাংশ টেস্ট ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ঘটেছিল স্রেফ ২০২২ সালে ঢাকা টেস্টে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ক্রিকেটের দূর্গ। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মত দলকে ধরাশায়ী করেছে টাইগাররা। কিন্তু ভারতকে পরাজয়ের বৃত্তের মধ্যে পেয়েও জয় বঞ্চিত থেকেছিল বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের শীতল হাওয়া যেন এক রত্তি আক্ষেপের বিষন্নতা ছড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাদেশে।

চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে ১৪৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে ভারত রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে। ৫৬ রান তুলতেই নিজেদের ৫টি উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তখন দূর আকাশে উঁকি দিতে থাকে। ৭৪ রানের মাথায় নিজেদের সপ্তম উইকেট হারায় ভারত।

বাংলাদেশ তখন প্রায় নিশ্চিত জয় তারা পেতে চলেছে। চতুর্থ ইনিংসে মিরপুরে ব্যাটিং করাটা যে কি দুর্বিষহ, তা সেদিন টের পেয়েছিল ভারত। বাংলাদেশও পূর্ণ ফায়দা তুলে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুইজনে মিলে জোট বাঁধেন। বাকি থাকা ৭১ রান তুলে নেন এই দুইজনে মিলে।

বাংলাদেশের জয় পাওয়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করেন মূলত রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৪২ রানের দূর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ভারতীয় এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তার ওই ইনিংসেই বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

এবার লড়াইটা ভারতের মাঠে। ভারত আধিপত্য বিস্তার করে টেস্টে নিজেদের অপরাজিত ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবে। তবুও হয়ত বাংলাদেশ পাবে সুযোগ। সেই সুযোগটুকু এদফা টাইগাররা কাজে লাগাতে পারবে বলে নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকেরা। তাদের নিশ্চয়ই আশাহত করতে চাইবে না শান্তর দল।

Share via
Copy link