ম্যাচের তখন ৫৭ মিনিট, এনগোলো কান্তের নিরীহ একটা পাস খুঁজে নিয়েছিল ডি বক্সের ডানে থাকা ওসমান ডেম্বেলেকে। কিন্তু সেই নিরীহ পাস পায়ে আসতেই বিদ্যুৎ খেলে যায় তাঁর পায়ে; চোখের পলকে বেলজিয়ামের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি চলে আসেন তিনি – এরপর বাম পায়ের জোরালো শট আর গোল!
বেলজিয়ামের বিপক্ষে ডেম্বেলে যে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন সেটা পূর্ণতা পেয়েছে এই কয়েক সেকেন্ডেই। এর আগের পুরোটা সময় গোলের জন্য হাপিত্যেশ করেছিলেন তিনি, বারবার বেলজিয়ামের দুর্গে হানা দিয়েছিলেন – যতক্ষণ মাঠে ছিলেন উইং ধরে গতির ঝড় তুলেছেন এদিন।
সবমিলিয়ে এই ফরাসি উইঙ্গার খেলেছেন ৮০ মিনিট, এর মধ্যে এক গোল করা ছাড়াও পাঁচ বার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন বটে। এছাড়া অ্যাকুরেট ক্রস দিয়েছেন দুইটি, এমনকি ম্যাচের প্রথম গোলেও অবদান রয়েছে তাঁর; ডেম্বেলের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফাঁকা পোস্টে গোল দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি। দুই পিএসজি তারকার যুগলবন্দীতে দারুণ একটা ম্যাচ দেখলো ফ্রান্স সমর্থকেরা।
সাম্প্রতিক সময়টা অবশ্য ভাল যাচ্ছিলো না দলটির, ইউরোতে অকাল বিদায়ের স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁদের। সবচেয়ে দু:খের ব্যাপার ছিল গোলখরা, বেলজিয়ামের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সবশেষ আট ম্যাচে স্রেফ দুইবার ওপেন প্লে থেকে গোল করতে পেরেছিল ফ্রান্স – অথচ কেভিন ডি ব্রুইনাদের বিপক্ষে নব্বই মিনিটেই দুই গোল করেছে তাঁরা।
যদিও পজেশন আর পাসিংয়ে এগিয়ে ছিল বেলজিয়ামই, কিন্তু ফাইনাল থার্ডে কোন কিছুই করতে পারেনি দলটির ফরোয়ার্ডরা। তবে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে চেষ্টার কমতি রাখেননি ডি ব্রুইনা।
ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন কিলিয়ান এমবাপ্পে অবশ্য ছিলেন না শুরুর একাদশে, চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখনো জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। জাতীয় দলেও বোধহয় সেটার প্রভাব পড়েছে, তাই তো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের কঠিন কাজটা তাঁকে ছাড়া খানিকটা হয়তো সহজ হয়েছে।