কি বিস্ময় লুকিয়ে আছে চেন্নাইয়ের উইকেটে?

ভারত পড়েছে উভয় সংকটে। কোনো একটা কূল হারাতেই হবে তাঁদের। বাংলাদেশের ভাবনা সেদিক থেকে কম। বোলিংয়ে দুই বিভাগই প্রস্তুত। ব্যাটাররা সামলে খেলতে পারলেই চেন্নাইয়ে অপেক্ষা করছে রোমাঞ্চকর পাঁচটা দিন।

চড়া রোদ, আকাশের দিকে তাকানো কঠিন। একটু একটু মেঘ উঁকি দেয় কখনও। লাভ হয় না, তাতে ভ্যাপসা গরম আরও বাড়ে। এমন এক পরিবেশে মাটির দিকে তাকালে মিলে এক রহস্যের সন্ধান। সেই রহস্যের নাম, চিপকের উইকেট।

কাগুজে নাম এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। লোকে অবশ্য চিপক স্টেডিয়াম বলেই ডাকে। চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠ। এখানকার উইকেটের কথা মাথায় রেখেই গেল বার আইপিএলে নিজেদের দলে চেন্নাই নিয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানকে।

কারণ, ঐতিহ্যগত ভাবেই চেন্নাইয়ের উইকেট স্লো-টার্নার। আবার গেল আইপিএলেও কিছু ম্যাচে চেন্নাইয়ে বেশ রানও হয়েছে। তাই, এবার এই স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে বেশ একটা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সৌরভ গাঙ্গুলি মত দিয়েছেন, উইকেট হবে স্পিন নির্ভর। যদিও, হার্শা ভোগলে বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি মনে করেন, প্রচলিত স্পিন উইকেট থেকে সরে আসবে ভারত।

সাধারণত ঘরের মাঠের সিরিজে স্পিন সহায়ক উইকেটেই তৈরি করে ভারত। কিন্তু, সেটা সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলের বিপক্ষে। কারণ, প্রতিপক্ষকে স্পিন দিয়ে আটকানো যাবে। আর এই দলগুলোতেও ভারতের কন্ডিশন আর উইকেটের সাথে মানানসই কোনো স্পিনার নেই।

কিন্তু, প্রতিপক্ষ যখন বাংলাদেশ – তখন হিসাব আলাদা। ভারতে বাংলাদেশ গিয়েছে চারজন পুরোদস্তর স্পিনার নিয়ে। এর মধ্যে দু’জন অলরাউন্ডার। মানে, কমপক্ষে দু’জন অলরাউন্ডার একাদশে অবধারিত।

আর ভারতের ব্যাটাররাও যে স্পিন খুব ভাল খেলেন বিষয়টা তেমন নয়। বরং, ইদানিং কোয়ালিটি স্পিনের বিপক্ষে তাঁরা বেশ ধুঁকছেন। পরিসংখ্যানই সে কথা বলছে। এমনকি খোদ বিরাট কোহলির বাঁ-হাতি স্পিনে দুর্বলতাও নতুন কিছু নয়।

তাহলে কি পেস বান্ধব উইকেটেই নির্ভরতা খুঁজবে ভারত? হ্যাঁ, দলে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজরা আছেন। ফলে, বাংলাদেশের জন্য সেটা ভয়ের কারণ বটে। আবার ভারতের বিপদও কম নয়। পেস বান্ধব উইকেটেই নাহিদ রানাকে মোকাবেলা করতে হবে কোহলি-রোহিতদের। সাথে বোনাস হিসেবে তাসকিন আহমেদ কিংবা হাসান মাহমুদরা তো আছেনই।

এই অবস্থায় ভারত পড়েছে উভয় সংকটে। কোনো একটা কূল হারাতেই হবে তাঁদের। বাংলাদেশের ভাবনা সেদিক থেকে কম। বোলিংয়ে দুই বিভাগই প্রস্তুত। ব্যাটাররা সামলে খেলতে পারলেই চেন্নাইয়ে অপেক্ষা করছে রোমাঞ্চকর পাঁচটা দিন।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link