যাওয়া আসার মাঝে একটি বল

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন যেনো বেড়েই চলেছে। এখনকার সময়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ফরম্যাটও এটি। দর্শকরাও চার-ছক্কার বৃষ্টি দেখতেই বেশি আগ্রহী। ফলে ক্রিকেটের বিশ্বায়নে বড় ভূমিকা পালন করছে এই ফরম্যাট। তবে একটা সময় এই গুরুত্ব ছিল না টি-টোয়েন্টির। ২০০৭ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরই বদলে যেতে থাকে ফরম্যাটটির চেহারা। এখন তো দল গুলো এই ফরম্যাটের জন্য স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারও তৈরি করছে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন যেনো বেড়েই চলেছে। এখনকার সময়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ফরম্যাটও এটি। দর্শকরাও চার-ছক্কার বৃষ্টি দেখতেই বেশি আগ্রহী। ফলে ক্রিকেটের বিশ্বায়নে বড় ভূমিকা পালন করছে এই ফরম্যাট। তবে একটা সময় এই গুরুত্ব ছিল না টি-টোয়েন্টির। ২০০৭ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরই বদলে যেতে থাকে ফরম্যাটটির চেহারা। এখন তো দল গুলো এই ফরম্যাটের জন্য স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারও তৈরি করছে।

দ্রুত রান তোলার তাড়া থাকলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও নিশ্চই কোনো ব্যাটসম্যান ডাক মেরে খুশি হবেন না। তবে ক্রিকেটের বেশ নামী ক্রিকেটাররাও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডাক মারার রেকর্ড করেছেন। ডাক মেরে রেকর্ড করা সেইসব ব্যাটসম্যানদের নিয়েই এই তালিকা।

  • মোহম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সফল ব্যাটসম্যানদের একজন মোহম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে গেছেন এই ক্রিকেটার। হাফিজ তাঁর ব্যাটিং নিয়ে প্রচুর কাজও করেছেন। তবুও ক্রিকেট মাঠে প্রতিদিন তো আর সফল হওয়া যায় না।

হাফিজ তাঁর ক্যারিয়ারে মোট ৯৪ টি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলেছেন। এর মধ্যে চার বার তিনি ইনিংসের প্রথম বলেই নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ হাফিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে গোল্ডেন ডাক আছে মোট চারটি। যার ফলে তিনি আজ জায়গা পেয়েছেন এই তালিকায়।

  • মাশরাফি বিন মর্তুজা (বাংলাদেশ)

আমাদের এই তালিকার একমাত্র পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে ব্যাটও কিছুটা চালাতে জানতেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ৩৯ বার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে  ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। এরমধ্যে পাঁচ বার আউট হয়েছেন প্রথম বলে।

এই তালিকায় আর যারা আছেন তাঁর সাথে বাকিদের অবশ্য বিরাট পার্থক্য আছে এই মাশরাফির। কারণ, বাকিরা সবাই হয় অলরাউন্ডার না হয় ব্যাটসম্যান। আর মাশরাফি মূলত ছিলেন বোলার। হ্যাঁ, তবে প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার সামর্থ্য তাঁর ছিল।

  • শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রিকেটারদের একজন আফ্রিদি। ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে এই ব্যাটসম্যানের জুড়ি নেই। আবার বল হাতেও যথেষ্ট কার্যকর এই স্পিনার। তবে তিনিও ডাক মারার রেকর্ড করে জায়গা করে নিয়েছেন আমাদের স্কোয়াডে। মোট ৯১ বার ব্যাট করতে নেমে পাঁচ বারই প্রথম বলে নিজের উইকেট হারান।

  • তিলকারত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কিংবদন্তি তিলকারত্নে দিলশানও আছেন আমাদের এই তালিকায়। ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশটির হয়ে ১০ হাজারের বেশি রানের মালিক দিলশান। এছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও একইরকম সফল এই ব্যাটসম্যান।

৮০ টি ম্যাচ খেলে ১৮৮৯ রানও আছে তাঁর ঝুলিতে। তবে এর মধ্যে পাঁচ বার গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটসম্যানও। তবে তাঁর ডাকের সংখ্যা মোট ১০ টি।

  • উমর আকমল (পাকিস্তান)

মজার বিষয় হচ্ছে এই তালিকার পাঁচজনই এশিয়ার। এরমধ্যে পাকিস্তানেরই আছেন তিনজন। দেশটির আরেক ব্যাটসম্যান উমর আকমলও আছেন সর্বোচ্চ গোল্ডেন ডাককারী দের তালিকায়।

তিনি দিলশানের মত শূন্য রানে আউট হয়েছেন মোট ১০ বার। তবে গোল্ডেন ডাকের সংখ্যা আরেকটু কম। ৭৯ বার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে নেমে মোট ৬ বার প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন এই ব্যাটসম্যান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...