করোনা ভাইরাস মাহামারীর কারণে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করে গত মাসের ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিলো পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ষষ্ঠ আসর। চলতি মাসের প্রথম দিন বায়ো বাবলের ভিতর থেকেই করোনায় আক্রান্ত হন ৪ জন ক্রিকেটার এবং একজন কোচিং স্টাফের সদস্য।
আজ নতুন করে আবারো তিন জন ক্রিকেটারের করোনা পজেটিভ আসলে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এরপরই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর সাথে জরুরি বৈঠকে বসে বোর্ড। বৈঠক শেষে বাধ্য হয়েই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ গুলো অনিদির্ষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে পিসিবি।
গত এক মার্চ প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় পিসিবি। ক্রিকেটারদের ভিতর প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ফাওয়াদ আলম ও লুইস জর্জ। এরপর একই দিন করোনা পজেটিভ হন কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের টম ব্যান্টন। এই তিন জন আক্রান্ত হওয়ার পর স্থগিত করা হয়েছিলো ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটরসের মধ্যকার ম্যাচটি।
দুই দিন আগে করাচি কিংসের কোচিং স্টাফ কামরান খান করোনায় আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে রাখা হয় তাকে। আজ আরো তিন জন ক্রিকেটার করোনা পজেটিভ হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে কোন তিন জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিশ্চিত করা হয়েছে গতকাল অনুষ্ঠিত ম্যাচ গুলোতে তাঁরা মাঠে উপস্থিত ছিলেন না।
স্থগিত হওয়ার আগে এবারের আসরের ১৪ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ১৪ ম্যাচ শেষে পিএসএলের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ মাচে তিন জয় নিয়ে শীর্ষে রয়েছে করাচি কিংস এবং সমান জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পেশোয়ার জালমি। এরপরের স্থান গুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, লাহোর কালান্দার্স, মুলতান সুলতান্স ও কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটরসের।
পাঁচ ম্যাচে ৫৯.৪০ গড়ে ২৯৭ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মোহাম্মদ রেজওয়ান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫৮ রান। ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন শান মাসুদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদি ও শাহনেওয়াজ ধানির শিকার ৯ টি করে উইকেট।
পিএসএল স্থগিত করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এরআগে করোনার কারণে গত বছরের মার্চেও স্থগিত করা হয়েছিলো পিএসএলের সর্বশেষ আসর। গত বছরের নভেম্বরে আয়োজন করা হয়েছিলো স্থগিত হওয়া বাকি ম্যাচ গুলো।