করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে সূচি পাঁচ দিন পেছানোর পর এবার স্থগিত ঘোষণা করা হলো পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্তিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্মত হয়েই সিরিজটি স্থগিত ঘোষণা করেছে।
চলতি মাসের ১২ তারিখে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে চারটি ওয়ানডে ও একটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিলো পাকিস্তানের যুবাদের। কিন্তু গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হওয়াতে সিরিজটি পাঁচ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। নতুন সূচি অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার কথা ছিলো পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।
কিন্তু করোনার প্রোকোপ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান লকডাউন আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আরো বাড়তে পারে। এমনকি করোনার প্রাদুর্ভাব না কমলে লকডাউন আরো কয়েক ধাপ বাড়ার সম্ভবনাই বেশী। আর করোনার এমন পরিস্তিতিতে বাধ্য হয়েই সিরিজটি স্থগিত করতে হয়েছে দুই বোর্ডের।
সিরিজ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি খেলা ৭১-কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। এই বোর্ড পরিচালক জানিয়েছেন ঈদের পর সিরিজটি নিয়ে আবার চিন্তা করবেন তাঁরা। তবে সব কিছু নির্ভর করবে করোনা পরিস্তিতির উপর।
এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়। আমরা দেশের অবস্থাটা দেখি কি দাঁড়ায়। আমরা আপাদত চিন্তা করছি ঈদের পরে আয়োজন করা যায় কিনা। এখন তো পরিস্তিতিটা খুব কঠিন। লকডাউন চলছে। আবার যে লকডাউন দেবে না তাঁর কোন গ্যারান্টি নেই। আমরা এটা নিয়ে ঈদের পরে চিন্তা করবো।’
ইতোমধ্যে করোনার কারণে দুই রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর। তবে করোনা পরিস্তিতি খারাপ হলেও টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের দুটি টেস্ট খেলতে নির্দিস্ট সময়েই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ।
জানিয়ে রাখা ভালো, আগামী ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের ভিতর ভাগ হয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট এবং ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।