মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতি সবচেয়ে বড় ‘ট্রিবিউট’টা দিলেন তাঁর সতীর্থ সুরেশ রায়না। অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা রায়না, ধোনির অবসর ঘোষণার ক্ষানিক বাদে নিজেও অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন।
ইন্সটাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সাথে খেলার সময়টা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হৃদয় ভরা গর্ব নিয়ে আমিও আপনার যাত্রায় সামিল হলাম। ধন্যবাদ ভারত।’
গোটা ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে চলছে এখন ধোনি বন্দনা। ধোনিকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সব ক্রিকেটারকেই একদিন এই যাত্রা শেষ করতে হয়, তবে তাঁদের কেউ আপনার খুব কাছের কেউ হলে সেই বিদায়টা আপনাকে আরো বেশি করে ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। আপনি দেশের জন্য যা করেছেন, সেটা সবাই হৃদয়ে ধারণ করে রেখেছে, তবে যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর আন্তরিকতা আমি আপনার কাছ থেকে পেয়েছি সেটা সব সময় আমার মধ্যে থাকবে। বিশ্ব দেখেছে অর্জন, আমি দেখেছি মানুষটাকে। সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ অধিনায়ক, আমার এই টুপিটাই আপনার উপহার।’
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে ভারত। প্রথমবারের মত বিশ্বজয় করেন শচীন টেন্ডুলকার। শচীন টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে তোমার অবদান অসামান্য। এক সাথে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জিততে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। তোমাকে ও তোমার পরিবারকে দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য শুভকামনা।’
বাংলাদেশ থেকেও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন ধোনি। মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘খেলাটার অনন্য একজন কিংবদন্তি তিনি। দারুণ একজন নেতা, তুখোড় একজন উইকেটরক্ষক, সেরা ফিনিশার ও অসামান্য একজন মানুষ – অনেক গুণই আছে তার মধ্যে। মাহি ভাইকে বড় একটা ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
অনিল কুম্বলে লিখেছেন, ‘এমএস ধোনিকে দারুণ একটা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন। এক সাথৈ খেলতে পারাটা সম্মানের ব্যাপারের। তোমার শান্ত ক্রিকেট মস্তিষ্ক আর বিজয়ী স্মৃতি অধিনায়কত্বের রোমন্থন চলবেই। তোমার জন্য শুভকামনা।’