বিশ্বকাপে চোখ সাইফউদ্দিনের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

ঘরের মাঠে ঐ সিরিজের সব পয়েন্ট পেলেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াটওয়াশ হয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ট স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। তাই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ভালো করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার ব্যপারে আশাবাদী মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে সুপার লিগের শীর্ষ সাত দল। এছাড়া বাকি তিন দলকে বাছাইপর্ব খেলে জায়গা করে নিতে হবে। তাই দেশের মাটিতে চেনা কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের শতভাগ দিয়ে বিশ্বকাপ খেলার পথ সুগম করতে চান এই অলরাউন্ডার।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস দল হিসাবে ভালো খেলতে পারছি না। আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন এই সিরিজটা ভালো খেলা এবং আইসিসি সুপার লিগের পয়েন্টের যেহেতু ব্যপার আছে। দেশের মাটিতে খেলা, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। অবশ্যই শতভাগ চেষ্টা করবো দলগত ভাবে খেলে সিরিজ জিততে পারি ও পয়েন্ট নিতে পারি। বিশ্বকাপ খেলতে যেন আমাদের জন্য সুবিধা হয়।’

গত কয়েকটা সিরিজে ধরেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারেছে না বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের সাথে বিধ্বস্ত হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সাথেও টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তাই ঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশনে সিরিজ জয়ের ব্যপারে আশাবাদী এই অলরাউন্ডার।

তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারি নাই। আমরা হোয়াটওয়াশ হয়েছি। আমাদের জন্য সত্যি হতাশাজনক ছিল। শ্রীলঙ্কার সাথে যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, চেষ্টা করবো এখান থেকে সিরিজ জয়ের জন্য। আমরা রোজা রেখেও অনেক পরিশ্রম করতেছি। ইনশাআল্লাহ আমরা আশাবাদী। কিছু দিন আগেও ওদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হেরে এসেছি। আমাদের জন্য বাড়তি একটা চ্যালেঞ্জ ওয়ানডে সিরিজ যেন জিততে পারি।’

বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ জিতেছে জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। এরপর তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে দশ ম্যাচ খেললেও জয়ের মুখ দেখেননি মুশফিক তামিমরা। তাই ঘরের মাঠের এই সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিচ্ছে স্বাগতিকরা। আজ অনুশীলন শেষে সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতেই অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু ঘরের মাটিতে অনেক ডমেস্টিক, প্রিমিয়ার লিগ, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। চেনা কন্ডিশন, মিরপুরের উইকেট, অবশ্যই চেষ্টা থাকবে যদি সুযোগ পাই ভালো খেলার। যারা খেলবে সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমরা এখানে অনেক গুলো ম্যাচ খেলেছি। সাকিব ভাই এসেছে, মুস্তাফিজ এসেছে, তাসকিন ভাই ভালো শেপে আছে। ইনশাআল্লাহ যদি আমি সুযোগ পাই চেষ্টা করবো সেরাটা দেওয়ার। যতোটা ম্যাচ জিততে সম্ভব।’

সাইফউদ্দিন মনে করেন ম্যাচের প্রথম দশ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বলে নিয়মিতই বল করতে দেখা যায় সাইফউদ্দিনকে। তাই সুযোগ পেলে প্রথম দশ ওভারে উইকেট তুলে নিয়ে ও ইকোনোমিক্যাল বোলিং করে দলের জয়ে অবদান রাখতে চান তিনি।

এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘অবশ্যই একটা ম্যাচের প্রথম দশ ওভার ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। বোলারদের জন্য দায়িত্ব থাকে প্রথম দশ ওভারে নতুন বলে উইকেট বের করে দেওয়া, ইকোনমিকাল বল করা, যেটা আমরা নিউজিল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থ হয়েছি। যেহেতু ঘরের মাঠে, চেনা কন্ডিশন সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো, যারা সুযোগ পাবে ভালো খেলার। বোলাররা আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link