তবে কি পাকিস্তানের সাথে টেস্ট সিরিজ জয় নিছকই ফ্লুক? ভারতের কাছে ২৮০ রানে প্রথম টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। এরপরই মূলত এই প্রশ্নের উৎপত্তি ঘটতে শুরু করেছে। মোটেও ফ্লুক নয়। আর যাই হোক, টেস্ট ম্যাচ জেতা অঘটন হতে পারে না। পুরো পাঁচ দিন ধরে অঘটন হওয়া সম্ভব নয়। তবুও ভারত সিরিজ বাংলাদেশের পরবর্তী দিনগুলোর রসদ হতে চলেছে।
নিজেদের মাটিতে যেকোন দলই ভীষণ শক্তিশালী। কিন্তু ভারত যেন একেবারেই অদম্য। সেই ২০১২ সালের পর টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে সিরিজ হারেনি ভারত। ২০১২ সালে তাদেরকে শেষ বার সিরিজ হারের স্বাদ দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর আর কেউই হারাতে পারেনি ভারতকে তাদের চেনা আঙিনায়।
ওই ২০১২ সালের পর বেশ কয়েক বার ভারত সফর করেছে ইংল্যান্ড। পাত্তাই পায়নি তারা স্বাগতিকদের বিপক্ষে। তিনটি টেস্ট সিরিজ আয়োজিত হয় দুই দলের মধ্যে। যার তিনটিই জিতেছে ভারত। অধিকাংশ সিরিজই হয়েছে একতরফা। ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ১১টি জিতেছে ভারত। একটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে ইংল্যান্ড।
শুধু ইংল্যান্ড নয়, অস্ট্রেলিয়াও ধরাশায়ী হয়েছে ভারতের মাটিতে। অস্ট্রেলিয়ারকে ১২টি ম্যাচে আতিথেয়তা দিয়েছে ভারত। যার ৮টি ম্যাচই জিতেছে স্বাগতিক ভারত। দুই হারের বিপরীতে দুইটি ড্র তাদের সঙ্গী। এতটুকু পরিসংখ্যানই বলে দেয়, ভারতের মাটিতে তারা ঠিক কতটা ভয়ংকর। সাদা পোশাকে তাদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়া ভীষণ কঠিন।
শুধু তাই নয়, অভিজ্ঞতার বিচারে ভারতের বর্তমান দল বেশ এগিয়ে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জাসপ্রিত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মত পরীক্ষিত সেনানীরা রয়েছেন। ঠিক তেমনি তারুণ্যের ঝলকানিও রয়েছে দলটিতে। জশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল, মোহাম্মদ সিরাজরাও দায়িত্ব নিচ্ছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই।
তাছাড়া সক্ষমতার নিরিখে পাকিস্তানের থেকে ঢের এগিয়ে ভারত। পাকিস্তানের টেস্ট সেট আপ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত। পক্ষান্তরে ভারত বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। তাইতো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ কিংবা সিরিজ পরাজয়ে ম্লান করার উপায় নেই পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতা সিরিজকে। কেননা যেকোন দলের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে সিরিজ জেতা চাট্টিখানি কথা নয়।
বরং বাংলাদেশ দলের সক্ষমতা বাড়ানোর আলাপ হতে পারে। তাছাড়া ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা পরিকল্পনার সমালোচনা হতে পারে। গঠনমূলক সমালোচনা টাইগারদের জন্য আশীর্বাদরূপে ধরা দিতে পারে। তাই তো এখনই গেল গেল রব তুলে ফেলা অবান্তর।