ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসন তো আগে থেকেই ইনজুরিতে; ‘নিউ সাইনিং’ দানি অলমোও আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে গিয়েছেন। সবশেষ তালিকায় সংযোজন মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগান – এসিএলের চোটে মৌসুম শেষ তাঁর।
এত এত দু:সংবাদে জর্জরিত বার্সেলোনা তাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলো না গেতাফের বিপক্ষে – আগের ছয় ম্যাচের প্রতিটিতে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়া দলটা গেতাফকে হারিয়েছে ন্যূনতম ব্যবধানে।
বার্সেলোনার কমতি ফুটে উঠেছিল ম্যাচের শুরুতেই, প্রথম পনেরো মিনিটেই একাধিকবার গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল গেতাফে। তবে ভাগ্য প্রসন্ন ছিল স্বাগতিকদের, গোলরক্ষকের ভুলে প্রতিপক্ষের আধিপত্যে অবসান ঘটাতে সক্ষম হয় তাঁরা।
জুলস কুন্দের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে উল্টো রবার্ট লেওয়ানডস্কির পায়ে বল পাঠান ডেভিড সরিয়া, অতঃপর খালি পোস্টে গোল আদায় করতে কোন ভুল হওয়ারই কথা নয় এই স্ট্রাইকারের। এই নিয়ে চলতি আসরে সপ্তম গোল করলেন তিনি – তাঁর উড়ন্ত ফর্ম নিয়ে তাই আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্য এতটুকুই, ম্যাচের বাকি অংশ জুড়ে ফুটবল বিধাতা প্রহসন করেছেন বার্সার সঙ্গে। কখনও রাফিনহা কখনও লামিন ইয়ামাল গোলের দ্বারপ্রান্তে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন স্কোরবোর্ডে নাম লেখাতে। ফিনিশিং মন মতো হলে বিরতির আগে তিন কিংবা চার গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো দলটি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।
দুই উইং ধরে ইয়ামাল আর রাফিনহা বারবার হানা দিয়েছিলেন গেতাফের রক্ষণভাগে; সত্যি বলতে তাঁদের অসহায় হয়ে পড়েছিল ডিফেন্ডাররা। তবে গোল নামক সোনার হরিণ ধরা দেয়নি আর, বরং সহজ সুযোগ হাতছাড়া করার হতাশায় ভুগেছেন ব্লাউগানা জার্সিধারীরা।
দ্রুত ফিনিশিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে বড় দলের বিপক্ষে বড় বিপদ হতে পারে তাঁদের। যদিও এত এত ইনজুরি সত্ত্বেও জয়ের ধারা ধরে রাখায় বার্সেলোনা নি:সন্দেহে প্রশংসার প্রাপ্য।
তারুণ্য নির্ভর একাদশ নিয়েও নিখুঁত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চলছে তাঁরা – তবে ফরোয়ার্ডদের গোলমুখে আরেকটু তীক্ষ্ণ হতে হবে বোধহয়, তা না হলে ড্রিবলিং আর থ্রু পাস কেবল চোখের শান্তি হয়ে রইবে; পয়েন্ট এনে দিবে না।