ফিরে এসে আস্থা রাখলেন রাহুল

ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট রাহুলের উপর রেখেছিল আস্থা। সেই প্রতিদান তিনি দিয়েছেন কানপুর টেস্টে। 

ইনজুরি কাটিয়ে বহুদিন বাদে দলে ফিরেছিলেন লোকেশ রাহুল। তবে একাদশে তাকে সুযোগ দেওয়া হবে না- এমন একটা ধারণা ছিল বটে। কেননা সরফরাজ খান ছিলেন দারুণ ছন্দে। তবুও ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট রাহুলের উপর রেখেছিল আস্থা। সেই প্রতিদান তিনি দিয়েছেন কানপুর টেস্টে।

চেন্নাই টেস্টে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। সর্বসাকুল্যে ৩৮ রান এসেছিল দুই ইনিংস থেকে। কিন্তু এরপর দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। কানপুর টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসের পরিকল্পনা ছিল দ্রুত রান তোলা। কেননা দুই দিনের বেশি সময়ে বৃষ্টির জলে ভেসে গেছে।

ভারত মূলত নজর রাখছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। তাদের তাই জয় ব্যতীত দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই। ফাইনালের পথ সুগম করার সবচেয়ে সহজ পথ ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। বিশেষ করে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। তাইতো ড্র নিশ্চিত জানা ম্যাচেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে ভারত। লোকেশ রাহুলও সেই পরিকল্পনায় ব্যাটিং করেছেন।

দুর্দান্ত একটা হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। চতুর্থ দিনের উইকেটে দাঁড়িয়েও আগ্রাসী সব শটের পসরা সাজিয়ে বসেন লোকেশ রাহুল। ১৫৮.১৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন লোকেশ। রীতিমত টি-টোয়েন্টি ঘরনার ব্যাটিং করেছেন ডান-হাতি এই ব্যাটার। মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে তুলে নেন ৬৮টি রান।

আউট হওয়ার মুহূর্তেও আগ্রাসী ছিলেন রাহুল। ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন রাহুল। পরাস্ত হয়ে স্ট্যাম্পিং আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। তবে যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিল ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট, সে উত্তর পেয়ে গেছেন তারা।

রাহুলও খানিকটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন বটে। তাছাড়া সরফরাজ খানের জায়গায় তাকে একাদশে সুযোগ দেওয়া যে একেবারেই অবান্তর সিদ্ধান্ত নয়, সে জবাবও দিলেন রাহুল। দলের পরিকল্পনামাফিক অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। গোটা দলের লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করেছে তার ৬৮ রানের ইনিংস।

Share via
Copy link